
ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তিটি তাঁর প্রশাসনের মধ্যস্থতার এক দীর্ঘ রাতের পর সম্পন্ন হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের স্বভাবতই এক ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব রয়েছে। সম্প্রতি পর্যন্ত এই সংঘাতেও যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা নির্লিপ্ত ভূমিকাই দেখিয়েছিল।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ “আমাদের কোনো বিষয় না।”
কিন্তু এই সংঘাত এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যেখানে হোয়াইট হাউসের নিরব থাকা আর সম্ভব হচ্ছিল না।
ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে বৈশ্বিক সংঘর্ষে এক ‘শান্তির দূত’ হিসেবে দেখতে পছন্দ করেন। তিনি নিয়মিত তাঁর সবচেয়ে আস্থাভাজন দূতদের ইসরায়েল ও রাশিয়ার মতো অঞ্চলে পাঠিয়ে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়েছেন।
ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায়, ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ ছিল মোটামুটি প্রত্যাশিতই।
তবে কৌশলগত দিক থেকেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চীনকে প্রতিরোধে একটি কেন্দ্রীয় অংশীদার হিসেবে দেখে।
বিগত একাধিক প্রশাসনের নীতির ধারাবাহিকতায়, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ঘিরে একাধিক মিত্র নিয়ে একটি বলয় তৈরি করেছে—দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে ভারত পর্যন্ত। শুধু সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোই নয়, বাইডেন প্রশাসনের "ফ্রেন্ড-শোরিং" কৌশলেও ভারত ছিল একটি প্রধান অংশীদার—যার মাধ্যমে চীনা পণ্যের উপর নির্ভরতা কমানো হয়।
যদিও ট্রাম্প ভারতের বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে নিরাপত্তা সহযোগিতা ও বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হয়।
বর্তমানে পাকিস্তান চীন ও ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জোট বাঁধছে। এমন অবস্থায় ওয়াশিংটন সম্ভবত ভারতের সঙ্গে একটি বড় ধরনের সংঘাতকে অঞ্চলটির নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করেছে।
সূত্র: বিবিসি
রবিউল