ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫

প্রকাশিত: ০১:০০, ১১ মে ২০২৫; আপডেট: ০১:০১, ১১ মে ২০২৫

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫

ছবি: সংগৃহীত

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনারেল মিটিংয়ে (ইওজিএম) অংশ নিতে আসা বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামী লীগপন্থি প্রকৌশলীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১০ মে) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর রমনায় আইইবি ভবনের প্রধান ফটকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী প্রকৌশলীরা জানান, হামলার নেতৃত্ব দেন আইইবির সাবেক সেক্রেটারি ও আওয়ামীপন্থি প্রকৌশলী মিয়া মো. কাইয়ুম, মহিবুর রহমান সবুজ এবং তারিকুজ্জামান তালুকদার শাহীন। তারা বহিরাগতদের নিয়ে ইওজিএমে অংশ নিতে আসা বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর হামলা চালান। এতে পুলিশ সদস্যসহ আইইবির কয়েকজন প্রকৌশলী আহত হন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আবদুল্লাহ আল মামুন, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর, এসআই যাক্কার, প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান চুন্নু, মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান, মো. আরাফাত রহমান রাকু, নাহিদুল ইসলাম, মুক্তাদির বিল্লাহ, সালমান খান, এমএম জিহান এবং বাদল আহমেদ।

বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক প্রকৌশলী মো. আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, "বিকেল ৩টায় আমাদের ইওজিএম নির্ধারিত ছিল। কিন্তু দুপুর ১২টার দিকেই আওয়ামী লীগপন্থি প্রকৌশলীরা হামলা চালিয়ে সভা বানচাল করার চেষ্টা করে। তারা ইট-পাটকেল ও গরম পানি নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের ৮-১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।"

প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন বলেন, "আওয়ামীপন্থি প্রকৌশলীরা দীর্ঘদিন আইইবিকে জিম্মি করে রেখেছে। এখন আমরা নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে চাইলেই তারা হামলা চালিয়েছে। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।"

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, "হঠাৎ হামলার মুখে পড়ি আমরা। আমার বুকে একাধিক ইটের আঘাত লেগেছে। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।"

ডিএমপির রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, "দুপুর ১২টার দিকে আইইবিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের সাত-আটজন সদস্য আহত হন। হামলাকারীরা গরম পানি ছোড়ে। পুলিশ পরে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।"   

আসিফ

×