
ছবি: প্রতীকী
চীনের তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের মাল্টিরোল ফাইটার জেট JF-17 Thunder Block III, যাকে সংক্ষেপে ডাকা হচ্ছে J-17C বা ‘ভিক্টোরিয়াস ড্রাগন’—এটি এবার বাংলাদেশের যুদ্ধবিমান বহরে যুক্ত হতে চলেছে। এ খবর প্রকাশের পর গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র আলোচনার ঢেউ। কারণ, এটি শুধু একটি যুদ্ধবিমান নয়—বরং বাংলাদেশ যে নতুন প্রতিরক্ষা কৌশলে প্রবেশ করছে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত।
এক সময় বাংলাদেশের আকাশে পুরনো মডেলের চীন ও রাশিয়ার তৈরি এফ-৭ বা মিগ-২১ ছিল প্রতিরক্ষার প্রতীক। কিন্তু সময় বদলেছে, সরকার বদলেছে, কৌশলও বদলেছে। এখন ক্ষমতায় রয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক যুদ্ধনীতির এক কৌশলগত নতুন গেমপ্ল্যান সাজাচ্ছে।
এই পরিকল্পনার অন্যতম চমক হচ্ছে ‘ভিক্টোরিয়াস ড্রাগন’। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সাথে তুলনীয় হলেও খরচে অনেক সাশ্রয়ী এই জেট। পাকিস্তান সম্প্রতি ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে এই জেট ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছে। এবার সেই ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিকভাবে ১৬টি JF-17 Block III যুদ্ধবিমান কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ সরাসরি আধুনিক যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আর সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে এই ড্রাগন জেট।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সামরিক তৎপরতার পেছনে রয়েছে মিয়ানমার ও ভারতের ভূরাজনৈতিক উত্তাপ। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বর্বরতা, রোহিঙ্গা সংকট ও সীমান্ত উত্তেজনা বাংলাদেশকে বাধ্য করেছে নতুন প্রতিরক্ষা কৌশল নিতে।
সম্প্রতি চীন সফর শেষে বাংলাদেশের সামরিক প্রতিনিধিদল একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যেখানে ড্রোন, আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও দেশীয় সামরিক উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
শুধু কেনাকাটাই নয়, বাংলাদেশ নিজেই সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের পথে হাঁটছে। বাংলাদেশ এখন শুধু আত্মরক্ষায় নয়, বরং নিজেকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=gw6r_Yie9Xs
রাকিব