
ছবিঃ সংগৃহীত
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তিনি মূলত নাটক ও টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে পরিচিতি পান। ব্যক্তিগত জীবনেও খোলামেলা ভাবনার জন্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে নিজের মমতাময়ী মা-কে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করেছেন।
তিনি লিখেছেন,
শুভ মা দিবস, আম্মু।
ছোটবেলায় আমি প্রায়ই কষ্ট পেতাম, কারণ তুমি এতটা কঠোর ছিলে। তুমি আমার পড়াশোনা, আমার বন্ধু, এমনকি আমার প্রেমিক—সবকিছুতেই হস্তক্ষেপ করতে। তখন আমার মনে হতো, তুমি আমার জীবনের প্রতিটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতে চাও।
কিন্তু এখন, বড় হয়ে বুঝতে পারি—তুমি কঠোর ছিলে না, তুমি ছিলে সুরক্ষাকামী। তুমি আমাকে পথ দেখাচ্ছিলে, গড়ে তুলছিলে, ভালোবেসে আগলে রাখছিলে, ঠিক যেমনটা শুধু একজন মা পারেন।
আজ আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ, তুমি এমন একজন মা ছিলে—যিনি না বলতে জানতেন, যিনি কখনও হাল ছেড়ে দেননি, এমনকি তখনও যখন আমি কিছুই বুঝতাম না।
তোমার দৃঢ়তা, শৃঙ্খলা আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি আজ যে মানুষ, তার পেছনে পুরোটাই তোমার অবদান।
আমি তোমাকে ভাষায় প্রকাশের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসি। সব অসাধারণ মায়েদের জন্য রইল মা দিবসের শুভেচ্ছা ❤️
বিশ্ব মা দিবস আজ: মমতার প্রতীক মাকে জানাই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
আজ বিশ্ব মা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আবেগঘন পরিবেশে। মাকে সম্মান জানানো ও তাঁর অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় মা দিবস।
‘মা’ শব্দটি যেন একটি অনুভব, একটি নিরাপদ আশ্রয়, ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের অপর নাম। সন্তানদের জন্য মা যা করেন, তার তুলনা পৃথিবীর আর কোনো সম্পর্কে পাওয়া যায় না। তাই এই বিশেষ দিনে সন্তানেরা তাদের মাকে উপহার, ফুল, শুভেচ্ছাবার্তা ও ভালোবাসায় সিক্ত করে তুলছেন।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ ভরে উঠবে মা–কেন্দ্রিক ছবি, কবিতা, স্ট্যাটাস ও স্মৃতিচারণে। অনেক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই দিবস উপলক্ষে আয়োজন করবে বিশেষ আলোচনা, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা।
বিশ্ব মা দিবসের সূচনা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৯০৮ সালে আনা জার্ভিস নামের এক নারী তাঁর প্রয়াত মায়ের স্মরণে দিবসটি শুরু করেন। পরে ১৯১৪ সালে এটি সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায় এবং ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, প্রতিটি মায়ের অবদান পরিবার ও সমাজে অপরিসীম। তাঁদের সম্মান ও অধিকার রক্ষায় শুধু একদিন নয়, প্রতিটি দিনই হওয়া উচিত ‘মা দিবস’—এমনটাই মত সমাজ বিশ্লেষকদের।
আজকের এই দিনে আমাদের সকলের উচিত—আমাদের মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো, তাঁদের সময় দেওয়া, এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁদের সম্মান জানানো।
🌷 “মা” আছে বলেই জীবন সুন্দর। মা দিবসে মাকে জানাই শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও অশেষ শুভকামনা।
ইমরান