
ছবি: প্রতীকী
শিশুদের পড়াশোনায় অনীহা নিয়ে চিন্তিত অনেক অভিভাবকই খুঁজছেন এর প্রকৃত কারণ। কেন শিশু পড়তে চায় না—এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা আক্তার তুলে ধরেছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যা হতে পারে
ডা. মেখলা জানান, অনেক সময় শিশুরা স্বাভাবিক বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে পিছিয়ে থাকতে পারে। বয়স অনুযায়ী তাদের যেভাবে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ, মনে রাখা বা বিশ্লেষণ করার দক্ষতা থাকা উচিত, তা না থাকলে পড়াশোনা কঠিন মনে হয়। এতে তাদের পড়ার প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হয়।
উদ্বেগ ও অস্থিরতা
অতিরিক্ত উদ্বেগ শিশুদের মনোযোগে ঘাটতি তৈরি করে। উদ্বেগে ভোগা শিশুরা সাধারণত অতিমাত্রায় চঞ্চল, হাইপার একটিভ ও খিটখিটে মেজাজের হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় পড়াশোনায় মন বসে না।
মোবাইল ফোনে আসক্তি
মোবাইল ব্যবহারে শিশুদের অনেক সময় আসক্তি তৈরি হয়। তারা পড়ার সময়ও ভাবে কী দেখেছিল, কোন গেম খেলবে, আবার কখন ফোন পাবে। ফলে মনোযোগ কমে যায়, পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
কড়া শাসনের নেতিবাচক প্রভাব
শিশুদের ওপর কঠোর নিয়ম চাপিয়ে দিলে, যেমন– ‘ফার্স্ট হতে হবে’, ‘ভালো রেজাল্ট না হলে শাস্তি’—এরকম ভয়ভীতি ও চাপ পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি করে। জোর করে পড়তে বসালে তারা আরও বিমুখ হয়ে পড়ে।
সমাধান কী?
ডা. মেখলার মতে, মনোযোগে ঘাটতি, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, ঘুমের সমস্যা বা পরীক্ষার ফলাফলের অবনতি দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। শিশুদের সঙ্গে জোরাজুরি না করে খেলার ছলে, গল্পের মতো করে পড়ালে আগ্রহ বাড়ে। অল্প অল্প করে পড়ানো ও প্রশংসা করলে শিশুরা উৎসাহী হয়।
মোবাইল ব্যবহারে নিয়ম
শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারে অবশ্যই নিয়ম-কানুন থাকতে হবে। খুব প্রয়োজনে শিশুর হাতে স্মার্টফোন দিলেও অভিভাবকদের নিশ্চিত করতে হবে, বাচ্চার এই অভ্যাসটা যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে। মোবাইল ব্যবহারের ও পড়ার সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=643351011803333&rdid=AufcqSOMiWyO8fWJ
রাকিব