
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ অনুসারীদের প্রতি।
রবিবার (১১ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।
তারেক রহমান লিখেছেন, বৌদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। এই পূণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। বৈশাখী পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেন মহামানব গৌতম বুদ্ধ। একই দিনে তিনি বুদ্ধত্ব ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। অহমের মাত্রাকে অতিক্রম করে তিনি অসীম জ্ঞান অর্জন করেন।
তিনি আরও বলেন, মহামানবদের বাণী কালের সীমা অতিক্রম করে বিভ্রান্ত মানুষকে সত্য ও কল্যাণের পথে আহ্বান জানায়। মহামানব বুদ্ধ ছিলেন অহিংসা, ন্যায় এবং সাম্যের চিরন্তন কণ্ঠস্বর। তাঁর সমবেদনা আলোকিত শিক্ষার প্রতিফলন।
তারেক রহমান বৌদ্ধ দর্শনের সাম্য ও মানবিকতার দিক তুলে ধরে বলেন, বুদ্ধত্ব লাভ করে তিনি বুঝেছিলেন সব প্রাণের মধ্যেই আছে কষ্টবোধ, আছে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। তিনি প্রচলিত জাতিভেদ প্রথা বিলুপ্ত করে কর্ম ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মানুষের মর্যাদা নির্ধারণের আদর্শ স্থাপন করেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাম্য ও মুক্তির বাণী প্রচার করে তিনি নতুন এক ধর্মদর্শনের ভিত্তি স্থাপন করেন।
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে বিএনপি’র এই শীর্ষ নেতা বলেন, “বাংলাদেশের নাগরিকরা আবহমানকাল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বোধ লালন করে আসছে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদই এদেশের সব ধর্ম, বর্ণ ও নৃগোষ্ঠীকে এক বন্ধনে আবদ্ধ করে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই এক অভিন্ন জাতি—আমরা সবাই বাংলাদেশি।
তিনি বৌদ্ধ পূর্ণিমার সকল আনুষ্ঠানিকতার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং বলেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় আমরা সবসময়ই সচেষ্ট থেকেছি, ভবিষ্যতেও সে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
এসএফ