ছবি: সংগৃহীত
গণতন্ত্রের জন্য কাঠামোগত সংস্কার অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শনিবার (১০ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপেুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া স্থানীয় কার্যালয় উদ্বোধন করতে গিয়ে এক কর্মীসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এছাড়া, ওইদিন দুপুর ১২টায় উপজেলার নিজস্ব কার্যালয়ে এক কর্মী সভাবেশও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জহিরুল ইসলাম রেনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দলটির বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সমন্বয়ক মো. শামীম শিবলী, আন্দোলনের মহিলা নেত্রী আকলিম আক্তার আখি, আব্দুল অদুদ, সাইন আহমেদ বাবু, মোহাম্মদ শাহনে ওয়াজ মোহাম্মদ শাহনে ওয়াজ প্রমুখ।
উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া স্থানীয় কার্যালয় উদ্ধোধন করতে গিয়ে কর্মীসভায়, দেশের সংবিধান সংস্কার নিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, সংস্কারের প্রশ্নটা এবার আমাদের সামনে এসেছে। রাষ্ট্রব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করতে হবে, জবাবদিহি পূর্ণ করতে হবে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের প্রস্তাব ইতিমধ্যে চলে এসেছে, ঐকমত্য কমিশন সমস্ত পক্ষগুলোর মধ্যে একটা ঐক্যের জায়গা তৈরি করতে চাচ্ছে। এছাড়াও ঐক্যগুলো জাতীয় সনদ আকারে সামনে আসবে, যেগুলো নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, তা বাস্তবায়ন হবে নির্বাচনের আগেই। সংবিধানসহ মৌলিক কাঠামোগত কিছু বিষয় আসলে জনপ্রতিনিধি ও সংসদ ছাড়া কার্যকর করা সম্ভব না।’
সাকি বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনটা যাতে মৌলিক সংস্কারের ম্যান্ডেট নিয়ে হয়। সেজন্য সংসদ নির্বাচনকে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হিসেবে করা দরকার এবং ৬ মাসের মধ্যে, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে’।
‘গণতন্ত্রের জন্য কাঠামোগত সংস্কার অপরিহার্য’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কাঠামোগতভাবে দেশকে মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটা গণতান্ত্রিক জায়গায় দাঁড় করাতে পারি এবং সেক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্যে থাকতে হবে এবং জনগণের অধিকারের সুরক্ষা দিতে হবে। এই কাজটা একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অপরিহার্য অঙ্গ।’
সোহাইল আহমেদ/রাকিব
