
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত না পেলে, আপনি আইনি সহায়তা নিতে পারেন। তবে এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করা উচিত, যা দেওয়ানি আইন ও দণ্ডবিধির অধীনে পরিচালিত হয়। নিচে ধাপে ধাপে আইনি প্রক্রিয়াটি তুলে ধরা হলো:
টাকা লেনদেনের সময় দেওয়া চুক্তিপত্র (Agreement), রশিদ (Receipt), ব্যাংক ট্রান্সফার রেকর্ড, মোবাইল মেসেজ, ইমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ/মেসেঞ্জার চ্যাট—এইসবই আপনার দাবির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রাখতে পারেন। এটা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি।
এছাড়া বাংলাদেশের দেওয়ানি কার্যবিধি অনুযায়ী, আপনি প্রথমে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি নোটিশ পাঠাতে পারেন। এই নোটিশে পাওনাদারকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে টাকা ফেরত দিতে বলা হয় (সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়)।
যদি আইনি নোটিশের পরেও টাকা না ফেরত দেয়, তাহলে আপনি দেওয়ানি আদালতে মানি স্যুট (Money Suit) দায়ের করতে পারেন। এই মামলাটি বাংলাদেশ দেওয়ানি কার্যবিধি (Code of Civil Procedure, 1908) অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
মামলা দায়েরের জন্য প্রয়োজনীয় নথি যা দরকার তা হলো, টাকা পাওনার প্রমাণ, আইনি নোটিশের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানার প্রমাণ, কোর্ট ফি জমা (টাকার পরিমাণ অনুযায়ী নির্ধারিত)
যদি দেখা যায় যে অপর পক্ষ জেনে-বুঝে প্রতারণা করেছে (উদাহরণস্বরূপ: টাকা নিয়েই ফেরত না দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না), তাহলে আপনি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা অনুযায়ী প্রতারণার মামলা করতে পারেন।
এই মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জেল বা জরিমানায় দণ্ডিত হতে পারেন। মৌখিক চুক্তির চেয়ে লিখিত চুক্তি ও প্রমাণ থাকা বেশি কার্যকর। ভবিষ্যতে সমস্যায় না পড়তে হলে সব ধরনের আর্থিক লেনদেন লিখিতভাবে করা উচিত।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/reel/1356335362016890
আরশি