
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমান সময়ে ফেসবুক অনেকের আয়ের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। দিন দিন কনটেন্ট বানানোর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে এবং কনটেন্ট বানানোর অন্যান্য মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরির জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। খুব সহজেই মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে এবং মনিটাইজেশন চালু থাকলে যে কেউ আয় করতে পারেন লাখ লাখ টাকা। তবে ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে মেটার দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নয়তো যেকোনো সময়ই ফেসবুক পেজের মনিটাইজেশন বন্ধ করে দিতে পারে মেটা। সে ক্ষেত্রে সবসময় মেটার নিত্য নতুন গাইডলাইনগুলোর উপর নজর রাখতে হবে।
তবে নানা উপায়েও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুক থেকে আয় করে থাকেন। তবে মেটার নতুন দিকনির্দেশনা বলছে, আগের মতো নিয়মে আর চলবে না ফেসবুক পেজ। এসেছে কিছু নতুন নিয়ম। চলুন সেগুলো জেনে নিই।
ফেসবুকে স্প্যাম ছড়ানো বন্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মেটা। অতিরিক্ত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বা ছবির সঙ্গে সম্পর্কহীন দীর্ঘ ক্যাপশন দিয়ে অ্যালগোরিদমকে বিভ্রান্ত করে আর আয় করা যাবে না। সম্প্রতি এক ঘোষণায় এই তথ্য জানিয়েছে মেটা। তারা জানিয়েছে, এ ধরনের অপ্রাসঙ্গিক পোস্টগুলোতে আর মনিটাইজেশন সুবিধা থাকবে না। এগুলো শুধুমাত্র ফলোয়ারদের টাইমলাইনে দেখানো হবে।
মেটা বলছে, স্প্যামি কনটেন্ট মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। যে ধরনের পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেগুলো আবার জানিয়ে দিচ্ছি:
-
অতিরিক্ত ও অপ্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগযুক্ত পোস্ট
-
ছবির সঙ্গে সম্পর্কহীন দীর্ঘ ক্যাপশন
-
একই পোস্ট শত শত ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করে ভাইরাল করার চেষ্টা
-
সাজানো বা মিথ্যা মন্তব্য
কনটেন্ট নিয়ে যারা এই ধরনের নিয়ম না মেনে কনটেন্ট তৈরি ও পোস্ট করতে থাকবেন, তাদের অ্যাকাউন্টের মনিটাইজেশন সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে। গুরুতর ক্ষেত্রে পোস্ট ও অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হতে পারে।
আসছে নতুন ফিচার ও মডারেশন টুলও। চলুন এই সম্পর্কেও জেনে নিই।
মেটা পরীক্ষামূলকভাবে এমন একটি ফিচার চালু করেছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা সরাসরি রিপোর্ট করতে পারবেন যদি কোনো মন্তব্য অপ্রয়োজনীয় বা স্প্যাম মনে হয়। পাশাপাশি পেজ মালিকদের জন্য এসেছে নতুন মডারেশন টুল, যা ভুয়া অ্যাকাউন্ট বা অন্যের নাম ব্যবহার করে করা মন্তব্যগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে লুকিয়ে ফেলবে।
মেটা জানিয়েছে, ভিউ ও আয়ের সংখ্যা কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া এসব অনৈতিক কৌশল রুখতেই তাদের এই নতুন পদক্ষেপ। তাদের আশা, এতে ফেসবুকে আসল ও মানসম্মত কনটেন্ট আরও বেশি জায়গা পাবে।
ইমরান