
ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চা-আড্ডায় মিলিত হন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ক্রেমলিনের প্রেসিডেন্ট অফিসে আয়োজিত এই অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও ইউক্রেন সংকটসহ নানা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
শি জিনপিং বলেন, “বিশ্ব এখন এক নতুন অস্থিরতা ও রূপান্তরের যুগে প্রবেশ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে চীন ও রাশিয়া যদি কৌশলগত স্থিরতা বজায় রাখে এবং কৌশলগত সমন্বয় অব্যাহত রাখে, তবে কোনো শক্তিই আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও পুনর্জাগরণ রুখতে পারবে না; দুই জাতির চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের ইচ্ছাও নস্যাৎ করতে পারবে না; এবং বিশ্বব্যাপী বহুধ্রুবীয়তা ও অর্থনৈতিক বৈশ্বিকায়নের গতি ঠেকানো যাবে না।”
চীনা প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখতে আগ্রহী, যাতে চীন-রাশিয়া সম্পর্কের দিকনির্দেশনা দেওয়া যায় এবং বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখা যায়।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, “রাশিয়া ও চীন সবসময় একে অপরের পাশে থেকেছে, সংকটেও একে অপরকে সহযোগিতা করেছে। দুই দেশের বন্ধুত্ব অবিচ্ছেদ্য। আমি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রস্তুত। এতে করে আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত দিকনির্দেশনা দিতে পারব, জটিল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একসঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব এবং একটি ন্যায্য, গণতান্ত্রিক ও বহুধ্রুবীয় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে পারব।”
দুই রাষ্ট্রপ্রধান ইউক্রেন সংকট নিয়েও মতবিনিময় করেন। শি জিনপিং বলেন, “চীন একটি সাধারণ, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক ও টেকসই বৈশ্বিক নিরাপত্তা ধারণার পক্ষে। সকল দেশের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত এবং সংকটের মূল কারণগুলো সমাধান করতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক সব প্রচেষ্টাকে চীন স্বাগত জানায় এবং আমরা আশা করি সংলাপের মাধ্যমে একটি ন্যায্য, টেকসই ও গ্রহণযোগ্য শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”
পুতিন চীনের ‘অবজেক্টিভ ও নিরপেক্ষ’ অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “রাশিয়া কোনো শর্ত ছাড়াই শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত এবং আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই শান্তিচুক্তি অর্জনের আশা করি।”
ফারুক