
.
বিশ্বের ছোট-বড় সবাই এখন কমবেশি স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নাল।
ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বিশ্বে স্থূলকায় মানুষের সংখ্যা চারগুণের বেশি হয়েছে। বিশ্বে এখন ১০০ কোটির বেশি মানুষ স্থূলতায় ভুগছেন। ৪ মার্চ বিশ্ব স্থূলতা দিবসের আগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, ১৯৯০ সালে বিশ্বে প্রায় ২২ কোটি ৬০ লাখ স্থূলকায় প্রাপ্তবয়স্ক, কিশোর এবং শিশু ছিল। ২০২২ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ১০৩ কোটি ৮০ লাখে পৌঁছেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকে পুরুষদের মধ্যে ১৪ শতাংশের স্থূলতার হার প্রায় তিনগুণ বেড়েছে এবং নারীদের মধ্যে ১৮.৫ শতাংশের ক্ষেত্রে তা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০২২ সালে ৫০ কোটি ৪০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক নারী এবং ৩৭ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ স্থূলকায় ছিল। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে প্রায় ১৫ কোটি ৯০ লাখ শিশু এবং কিশোর-কিশোরী স্থূলতার সমস্যায় ভুগেছে। ১৯৯০ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ। ল্যানসেট জানিয়েছে, বিশ্বের ১৯০টির বেশি দেশের ২২ কোটির বেশি মানুষের ওজন এবং উচ্চতা পরিমাপ বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই ‘মহামারি’ দরিদ্র দেশগুলোতে বেশি আঘাত হানছে। সেসব অঞ্চলে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্থূলতার হার দ্রুত বাড়ছে।
স্থূলতার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির বিষয়ে চিকিৎসকরা আগে থেকেই জানতেন। তবে এটি যে এত দ্রুত বাড়তে পারে তা তাদের ধারণার বাইরে ছিল।
ধারণা ছিল, স্থূলতার প্রতীকী এই চিত্র ২০৩০ সালে দেখা যাবে। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও-এর স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টি বিভাগের পরিচালক ফ্রান্সিসকো ব্রাঙ্কা বলেন, স্থূলকায় মানুষের সংখ্যা ‘আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক আগে’ ১০০ কোটিতে চলে এসেছে। অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল ধরনের অসুস্থতা। -এএফপি