ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বিষ প্রয়োগের ২৯ বছর পর নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

বিষ প্রয়োগের ২৯ বছর পর নারীর মৃত্যু

নিহত ঝু লিং

চীনে থ্যালিয়াম নামের এক রহস্যময় বিষ প্রয়োগের ২৯ বছর পর ঝু লিং নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিন দশক আগে ১৯৯৪ সালে তার দেহে অতি বিষাক্ত এই ক্যামিকেলটি প্রয়োগ করা হয়। সে সময় বেইজিংয়ের তিনগুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।

বিষ প্রয়োগের পর ঝু লিং প্যারালাইজড হয়ে যান। ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চোখের প্রায় পুরো দৃষ্টিশক্তিও হারান তিনি। বিষ প্রয়োগের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টাই অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়েছে তাকে।

বিষ প্রয়োগের ঘটনায় কাউকেই বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। যদিও ঝু লিংয়ের সহপাঠী ও রুমমেট সান ওইয়র বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগের অভিযোগে তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু তাকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়নি।

বেইজিংয়ের পুলিশ জানিয়েছিল, সান ওইয়ের বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগের কোনো শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

১৯৯৪ সালের শেষ দিকে ঝু লিং পেটে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। এছাড়া তার চুলও পড়তে থাকে। এরমধ্যেই হঠাৎ করে কোমায় চলে যান তিনি।

পরবর্তীতে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন তার দেহে থ্যালিয়াম নামের ক্যামিকেল প্রয়োগ করা হয়েছে। এটি একটি নরম মেটাল। থ্যালিমাল পানিতে দিলে সেটি মিলিয়ে যায়। এই ক্যামিকেলের কোনো গন্ধও ও স্বাদ নেই।

ঝু লিংয়ের পরিবার দাবি করে, তার সৌন্দর্য্য ও অ্যাকাডেমিক সাফল্যে ঈর্শান্বিত হয়ে তারই সহপাঠী সান এই বিষ প্রয়োগ করেছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, সানের দাদা ইয়ুএকি চীনের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা এবং তার এক আত্মীয় বেইজিংয়ের সাবেক মেয়র ছিলেন। সে কারণে তার বিরুদ্ধে সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। কে, কীভাবে এবং কেন বিষ প্রয়োগ করেছিল সেটি জানার আগেই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন ঝু লিং।

সূত্র: বিবিসি

 

এবি

সম্পর্কিত বিষয়:

×