ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত প্রায় ১০ হাজার 

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত প্রায় ১০ হাজার 

ভূমিকম্প

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি। দুই দেশ মিলিয়ে এই  নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ৫৭৮ জন।

কেবল তুরস্কেই প্রাণহানি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১০৮ জন। আর সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওযা গেছে।

ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টা পরেও চলছে উদ্ধারকাজ। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া বিরূপ আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।

সময় যত যাচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কাও তীব্র হচ্ছে।

এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্কবার্তা দিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরে সব দোকানপাট বন্ধ। বিস্ফোরণে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তীব্র শীতের মধ্যে উষ্ণ থাকতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দাদের। মিলছে না পেট্রলও। প্রায় ১০০ লোক কম্বল মুড়ি দিয়ে রাত কাটিয়েছেন স্থানীয় একটি বিমানবন্দরের টার্মিনালে।

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে নিয়োজিত উদ্ধারকর্মীরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া লোকদের বের করে আনতে যত দেরি হবে, তাদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা তত কমে আসবে বলে জানিয়েছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির জরুরি সেবা বিশেষজ্ঞ ড. রিচার্ড এডওয়ার্ড মুনের মতে, পানি এবং অক্সিজেনের স্বল্পতাই ভুক্তভোগীদের বেঁচে থাকার পথে প্রধান বাধা।

স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ায় আঘাত হেনেছিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পটি। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া লোকদের শরীর থেকে এরই মধ্যে প্রচুর পানি বেরিয়ে গেছে। এই অবস্থায় একজন মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন ড. রিচার্ড।

টিএস

×