দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিয়া নেতা মোকতাদা আল সদরের অবস্থান তাকে ইরাকের সব জনগোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয় করেছে। কট্টরপন্থী ও মার্কিন বিরোধী ধর্মীয় নেতা হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। তাকে নিয়ে অনেকের মনে শঙ্কা ও সন্দেহ ছিল। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী সদর যেন আগের চেয়ে ভিন্ন এক ব্যক্তি। নিউইয়র্ক টাইমস।
কালো কাপড় পরিহিত ডেথ স্কোয়াডের সদস্যদের বাগদাদের রাজপথে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য এখনও অনেক ইরাকীর মনে ভাসে। সে এক দশক আগের কথা। শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষে তখন বিপর্যস্ত ছিল দেশটির সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। সদর বাহিনী ছিল এক ত্রাস। তাদের হাতে ব্যাপক রক্তপাত ঘটত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যার শিকার হতো সুন্নিরা। মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার জন্য আল সদর নিয়মিত জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতেন। তিনি যে মিলিশিয়া বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন তাদের অস্ত্র সরবরাহ করত ইরান। ইরানের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তার ছিল। সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইরাক মার্কিন নিয়ন্ত্রণে চলে যায় কি না তা নিয়ে ইরানের উদ্বেগ ছিল। এ কারণে ইরাকে প্রভাব ধরে রাখে তেহরান। ইরাকে চলতি মাসে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে সেই জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছে যার নেতাকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্র দেশটির স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি মনে করত। নির্বাচনের ফল অনেককে অবাক করে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে এবারের নির্বাচন।