ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ইউক্রেনে ১৬ মাসের লড়াই শেষে রুশ বাহিনীর সাফল্য

চাসিভ ইয়ারের দখল নিল রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২৩, ৩১ জুলাই ২০২৫

চাসিভ ইয়ারের দখল নিল রাশিয়া

রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের চাসিভ ইয়ার শহরের একটি এলাকা

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে চাসিভ ইয়ার শহরটি দখলে নিয়েছে রাশিয়া। প্রায় ১৬ মাসের তীব্র লড়াই শেষে বৃহস্পতিবার মস্কো এ সাফল্যের দাবি জানাল। রাশিয়ার এই অগ্রগতি দোনেৎস্ক অঞ্চলে মস্কোর জন্য একটি বড় কৌশলগত অর্জন। এর ফলে ইউক্রেনের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা শহর কস্তিয়ান্তিনিভকা, স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামাতোরস্ক অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার পথ খুলে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে একের পর এক রুশ ড্রোন হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে ইউক্রেনের আকাশ ও স্থলভাগ।

পূর্ব ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ছোট ছোট অগ্রগতি জমা হয়ে বড় আকার ধারণ করছে। তারা একের পর এক ছোট ছোট এলাকা দখল করছে এবং গ্রীষ্মকালীন আক্রমণের জন্য অনেক সম্পদ জড়ো করছে যা ফ্রন্টলাইনের নিয়ন্ত্রণ বদলে দিতে পারে। খবর আরটির।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এসব হামলায় ছয় বছর বয়সি এক শিশুসহ ৮ জন নিহত ও ৮৮ জন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি সহায়তাকারীরা।

ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষের সন্ধানে কংক্রিট ভেঙে চলেছে তল্লাশি অভিযান। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া এদিন ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ বিশ্ব আবারও দেখল আমেরিকা ও ইউরোপের সঙ্গে আমাদের শান্তিচেষ্টার জবাবে রাশিয়া কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। সুতরাং শক্তি ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে- ইউক্রেনের সামরিক বিমানঘাঁটি, অস্ত্রভা-ার এবং কিয়েভের সামরিক শিল্প খাতের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

ওপেনসোর্সভিত্তিক ইউক্রেনীয় মানচিত্রভিত্তিক সাইট ডিপস্টেটের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের চাসিভ ইয়ার শহরটির জন্য লড়াই শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে। ওই সময় রুশ প্যারাট্রুপাররা শহরের পূর্ব প্রান্তে পৌঁছে যায়। সে সময় রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, রুশ সেনারা শহরের ভেতরে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে বারবার ফোন করে হুমকি দিচ্ছিলেন। অন্যথায় বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই শহরের যুদ্ধের আগে জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১২ হাজার। সেখানে ছিল একটি রিইনফোর্সড কংক্রিট পণ্য এবং ইট তৈরির কাঁচামাল উৎপাদনের কারখানা।

প্যানেল হু

×