সিডনির ক্যামডেন শহরে প্রবল বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট প্লাবিত
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধস দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রবিবার মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মার্চেও অঞ্চলটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।- খবর সিএনএনের।
এর আগে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেটের নিউক্যাসল থেকে বেটম্যানস বে পর্যন্ত পূর্ব উপকূল অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করে। তাছাড়া আগামী দুইদিন ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের জরুরী সেবামন্ত্রী স্টেফানি কুক বলেন, বন্যা, ভারি বৃষ্টি ও নদী ভাঙ্গনসহ বর্তমানে আমরা বিভিন্ন দিক থেকে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছি। এমন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের হলিডে ভ্রমণ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে জরুরী পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যা জীবনের ওপর ঝুঁকি তৈরি করেছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, অধিকাংশ জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কিছু জায়গায় যা ৩৫০ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে। ভারি বর্ষণের ফলে দেশটির বৃহত্তম শহর সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে ঝড়ো বাতাস ও তীব্র বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। গত বছরের তুলনায় এবার অঞ্চলটিতে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার কারণে নগরীর ভেতরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সিডনির পশ্চিমাঞ্চলে অন্তত ১৮টি এলাকায় স্থানান্তরের নির্দেশ জারি রয়েছে। এসব এলাকা মার্চে প্রবল বন্যায় তলিয়ে ছিল। স্টেফানি কুক আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল, উত্তর ও দক্ষিণ সিডনির ৫শ’ কিলোমিটারের মধ্যে যারা বাস করে তাদেরকে আবহাওয়ার কারণে স্কুল হলিডে ভ্রমণ পরিকল্পনা বাতিলের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জরুরী সেবার লোকজন বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে ২৯টি অভিযান চালিয়েছে এবং ১৪শ’রও বেশি কল তাদের করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র শিকার অস্ট্রেলিয়ায় বন্যা, খরা, দাবানলসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।