গাজায় ইসরাইলের হামলা।
গাজায় ঈদের দিনও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এই হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় আরো ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরো ৪৫ জন। এ নিয়ে গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৫৪৫ জনে। আর আহত হয়েছেন আরো ৭৬ হাজার ৯৪ জন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সর্বশেষ আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ঈদের দিনে চালানো এই হামলায় হামাসের প্রধান নেতা ঈসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে একই সঙ্গে প্রাণ হারান।
গতকাল বুধবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে মুসল্লিদের সবচেয়ে খুশির এ দিনটিতেও হামলা বন্ধ ছিল না ইসরায়েলের।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৩ জনের মাধ্যমে গাজায় সবমিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৫৪৫ জনে। অপরদিকে আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ৯৪ জন।
এর আগে, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ শুরু হয়। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে যত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ধারণা, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, সেটি বাধাগ্রস্ত করতেই হামাস প্রধানের ছেলেদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইসরায়েল এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনার সঙ্গে হানিয়ার ছেলেদের ওপর হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
ইসরায়েল দাবি করেছে, হানিয়ার ছেলেরাও হামাসের সদস্য ছিলেন এবং তারা কথিত ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম চালানোর উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন।
তবে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঈদের দিন আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আল শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়েছিলেন হানিয়ার ছেলে ও নাতি-নাতনি। ইসরায়েলের হামলায় তিন ছেলে ছাড়াও হানিয়ার চার নাতি ও নাতনি নিহত হয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা।
এম হাসান