পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে হবে তা নিয়ে বড় ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনা করায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতের বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঞ্জাব প্রদেশের পার্লামেন্টারি এ্যাফেয়ার্স সম্পর্কিত মন্ত্রী বাশারাত রাজা সোমবার প্রাদেশিক আইনসভার অধিবেশনে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি রেজুল্যুশন উত্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে কোন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হবে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তার বড় ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সে সম্পর্কে আলোচনা ও শলা-পরামর্শ করেছেন। দুই দিন আগে লন্ডনে নওয়াজ-শাহবাজের এই আলোচনা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই রেজুল্যুশনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন পাঞ্জাবের আইনসভার বেশিরভাগ সদস্য।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে কয়েক দিন আগে যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বড় ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তিনি সাক্ষাত করেন বলে জানা গেছে। পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ও আদালতের দ-প্রাপ্ত। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি জাতীয় রাজনীতি থেকে নির্বাসিত এবং আদালতের দ- এড়াতে বর্তমানে বিদেশে পলাতকের জীবনযাপন করছেন।
পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া চলতি বছরের নবেম্বরের শেষের দিকে অবসরে যাচ্ছেন। সম্প্রতি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী খুররামও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে হবে তা নিয়ে বড় ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনা করেছেন শাহবাজ শরিফ। এই বক্তব্যের পর পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই।
বন্যার পর দ্রুত ছড়াচ্ছে ম্যালেরিয়াসহ অন্যান্য রোগ ॥ পাকিস্তানের বন্যাকবলিত অঞ্চলে ম্যালেরিয়াসহ অন্যান্য রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যেই এসব রোগের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩২৪ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার জানিয়েছে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী এ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেছেন, বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি অনেক লোকের সঙ্গে সাক্ষাত করলেও যদি আরও সাহায্য না আসে তাহলে এসব মানুষ বিপদের মধ্যেই থেকে যাবেন বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।