
ছবি: সংগৃহীত
উচ্চ কোলেস্টেরল বর্তমানে একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ নানা জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে আশার কথা হলো, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে আনা সম্ভব। এমন কিছু খাবার আছে যা প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
চলুন জেনে নিই এমন ১০টি খাবারের কথা যা নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল কমে যেতে পারে
১. ওটস
ওটসে রয়েছে সল্যুবল ফাইবার, যা রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর। সকালের নাশতায় ওটস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২. ডাল ও বিনস
মসুর ডাল, সয়াবিন, কাবলি ছোলা ইত্যাদিতে থাকা দ্রবণীয় আঁশ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। এগুলো সহজলভ্য ও পুষ্টিকর।
৩. বাদাম
বিশেষ করে আমন্ড, আখরোট, কাজুবাদাম নিয়মিত খাওয়ার ফলে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমে।
৪. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে রয়েছে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. ফ্যাটি ফিশ (স্যামন, ম্যাকেরেল)
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর এই মাছগুলো ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে।
৬. ফল (বিশেষ করে আপেল, আঙ্গুর, বেরি)
এই ফলগুলোতে থাকা পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমানোর কাজে খুবই কার্যকর।
৭. বার্লি ও গোটা শস্য
বার্লি ও অন্যান্য হোল-গ্রেইন খাবারে উচ্চ মাত্রার আঁশ থাকে, যা রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাসে সহায়ক।
৮. রসুন
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কাঁচা রসুন খেলে কোলেস্টেরল কিছুটা হ্রাস পেতে পারে এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৯. অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
১০. সবুজ শাক-সবজি
ব্রকলি, পালং শাক, কলিজা শাক ইত্যাদি খাবারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশ শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বের করে দিতে সাহায্য করে।
শুধু খাবার নয়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান বর্জন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করাও গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ কোলেস্টেরল ধরা পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। স্বাস্থ্যই সম্পদ সঠিক খাবারেই সুস্থ জীবন।
আঁখি