
ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমাতে নানা ধরনের ডায়েট ও ব্যায়ামের পেছনে ছুটছেন অনেকে। তবে সম্প্রতি দেশে-বিদেশে আলোচনায় এসেছে মাত্র একটি পদ্ধতি— ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermittent Fasting)। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতিতে নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুললে ১–৩ মাসেই ৫ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন হ্রাস সম্ভব।
কি এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং?
সাধারণভাবে এটি এক ধরনের খাদ্য গ্রহণের সময়সূচি যেখানে দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে এবং বাকি ৮ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি রাত ৮টায় রাতের খাবার খেয়ে নেয়, তবে পরদিন দুপুর ১২টার আগে কোনো ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা হয় না। শুধুমাত্র পানি, গ্রিন টি, ব্ল্যাক কফি, কিংবা লবণ দেওয়া পানীয় গ্রহণ করা যেতে পারে।
ওজন কমার রহস্য কী?
পুষ্টিবিদদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় না খাওয়ার ফলে শরীর তার সঞ্চিত ফ্যাট পোড়াতে শুরু করে। এতে করে ধীরে ধীরে ওজন কমে এবং তা হয় স্থায়ীভাবে। সবচেয়ে বড় কথা, এতে ব্যায়াম বা ওষুধ ছাড়াও ওজন হ্রাস সম্ভব।
বিশেষজ্ঞের মতামত
পুষ্টিবিদরা বলেন, “ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুধু ওজন কমায় না, বরং এটি রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ, লিভার ডিটক্স, এবং ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়াতেও সহায়ক। তবে যাদের ডায়াবেটিস বা গর্ভাবস্থার মত শারীরিক অবস্থা রয়েছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শুরু করতে হবে।”
কি খাবেন ৮ ঘণ্টার মাঝে?
এই সময়ের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, শাকসবজি, ডাল, রুটি, ওটস, প্রোটিন জাতীয় খাবার এবং ফল। মিষ্টি, সফট ড্রিংকস ও চিপস জাতীয় জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অনুসরণ করে অনেকেই ১ মাসে ৩–৬ কেজি এবং ২–৩ মাসে ৫–১০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। ওষুধ বা কঠিন ডায়েট ছাড়াই এই ফল পাওয়া যায়।
এই পদ্ধতিতে আগ্রহীদের জন্য পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, “ধৈর্য্য ও নিয়মিত অভ্যাসই সফলতার চাবিকাঠি।”
মিরাজ খান