
ছবি: সংগৃহীত
কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। এটি রক্ত পরিশোধন, অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য পদার্থ অপসারণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তে খনিজের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অনেকেই কিছু সাধারণ ভুলের কারণে অজান্তেই কিডনির ক্ষতি করে চলেছেন। নিচে এমন কিছু ভ্রান্ত অভ্যাস তুলে ধরা হলো, যা দীর্ঘমেয়াদে কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে।
✅ ১. অল্প পানি পান করা
পর্যাপ্ত পানি না খেলে কিডনি ঠিকভাবে রক্ত পরিশোধন করতে পারে না। ফলে বর্জ্য পদার্থ জমতে থাকে, যা কিডনি স্টোন ও কিডনি ড্যামেজের ঝুঁকি বাড়ায়।
✅ ২. নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখা
এই দুটি রোগ কিডনি বিকলের প্রধান কারণ। নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনির রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়।
✅ ৩. অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ সেবন
ব্যথানাশক, অ্যান্টিবায়োটিক বা হারবাল ওষুধ অতিরিক্ত সেবনে কিডনির উপর মারাত্মক চাপ পড়ে। অনেক সময় এগুলো ধীরে ধীরে কিডনির টিস্যু নষ্ট করে দেয়।
✅ ৪. প্রস্রাব চেপে রাখা
দীর্ঘসময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রথলি ও কিডনিতে সংক্রমণ হতে পারে। এতে ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়।
✅ ৫. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
সোডিয়াম কিডনির জন্য চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে, যা কিডনির বড় শত্রু।
✅ ৬. ধূমপান ও অ্যালকোহল
এই দুটি অভ্যাস কিডনির রক্তনালী সরু করে দেয় এবং অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত করে, ফলে কিডনির কোষ ধ্বংস হতে থাকে।
✅ ৭. বেশি প্রোটিন খাওয়া
বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে রেড মিট, প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন, তাদের কিডনিতে বাড়তি চাপ পড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
✅ ৮. ঘুমের অভাব
ঘুমের সময় শরীর নিজেকে রিপেয়ার করে। নিয়মিত কম ঘুম কিডনির ক্ষতির অন্যতম কারণ হতে পারে।
🟢 করণীয়:
🔹 প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন
🔹 প্রস্রাব কখনো আটকে রাখবেন না
🔹 চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন
🔹 নিয়মিত রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার পরীক্ষা করুন
🔹 পরিমিত লবণ ও প্রোটিন গ্রহণ করুন
🔹 ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন
🔹 পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
আপনার একটি অভ্যাস বদল কিডনি রক্ষা করতে পারে দীর্ঘদিনের জন্য। আজই সতর্ক হোন!
Mily