
টাইপ ২ ডায়াবেটিস শুধু হার্ট, চোখ বা কিডনির জন্যই ক্ষতিকর নয়—এটি মস্তিষ্ককেও দ্রুত বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই রোগের কারণে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া, মানসিক ক্ষয় এবং অ্যালঝাইমারসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে কিছু জীবনধারাভিত্তিক পরিবর্তনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে ধীর করা সম্ভব। নিচে তুলে ধরা হলো ৩টি কার্যকর উপায়:
১. নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন
নিয়মিত ব্যায়াম রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। এতে নিউরনের কার্যকারিতা বাড়ে এবং স্নায়ু কোষের ক্ষয় ধীরে ঘটে। গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটাচলা, সাঁতার কিংবা যোগব্যায়ামের মতো হালকা ব্যায়ামও ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে মানসিক দক্ষতা রক্ষায় কার্যকর।
২. ডায়াবেটিস-বান্ধব খাদ্যাভ্যাস
মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কম কার্বোহাইড্রেট, বেশি আঁশযুক্ত খাবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত মাছ (যেমন স্যামন), বাদাম এবং শাকসবজি মস্তিষ্কের বার্ধক্য রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাও জরুরি।
৩. ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
ঘুমের অভাব ও দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ডায়াবেটিসজনিত স্নায়বিক ক্ষয়কে ত্বরান্বিত করে। প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম এবং মেডিটেশন বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো চর্চা স্ট্রেস হরমোন কমিয়ে মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ফলে সৃষ্ট মস্তিষ্কের দ্রুত বার্ধক্যকে ঠেকাতে জীবনধারাভিত্তিক হস্তক্ষেপই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস রপ্ত করা যত দ্রুত শুরু করা যায়, মস্তিষ্ক তত দীর্ঘকাল সুস্থ রাখা সম্ভব।
Jahan