
ছবি: সংগৃহীত
শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সুষম ও পুষ্টিকর খাবার। অনেক সময় শিশুর ওজন না বাড়লে বাবা-মা দুশ্চিন্তায় পড়েন। নিচে এমন তিনটি ঘরোয়া রেসিপি দেওয়া হলো, যা নিয়মিত খাওয়ালে শিশুর ওজন বাড়তে সহায়তা করবে। এসব খাবার শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং ভরপুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
১. কলা-খেজুর-বাদাম মিল্কশেক
এই মিল্কশেক শিশুদের জন্য একটি শক্তিবর্ধক ওজন বৃদ্ধিকারী পানীয়।
উপকরণ:
– পাকা কলা ১টি
– খেজুর ২টি (বীজ ছাড়া)
– কাজু/বাদাম ৪–৫টি (পানিতে ভিজিয়ে নেওয়া)
– দুধ আধা কাপ
প্রণালি:
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে মিল্কশেক তৈরি করুন। হালকা ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
পুষ্টিগুণ:
কলায় রয়েছে শক্তি ও পটাশিয়াম, খেজুরে আছে আয়রন ও গ্লুকোজ, বাদামে রয়েছে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি। সব মিলিয়ে এটি শিশুদের শরীর গঠনের জন্য আদর্শ।
২. বিভিন্ন ডালের খিচুড়ি
ডাল প্রোটিনের অন্যতম উৎস, যা শিশুর ওজন বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
উপকরণ:
– চাল ও মুগ/মাসুর/চানা ডাল মিশিয়ে আধা কাপ
– সবজি (গাজর, কুমড়া, আলু) কুচি করা
– সামান্য ঘি
– লবণ (১ বছরের নিচে না)
প্রণালি:
চাল-ডাল ভালোভাবে ধুয়ে সবজি দিয়ে একসঙ্গে সেদ্ধ করুন। শেষে সামান্য ঘি মেশান। ঠান্ডা হলে শিশুকে খাওয়ান।
পুষ্টিগুণ:
বিভিন্ন ডালের মিশ্রণে থাকে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, যা শিশুদের পেশি গঠনে সহায়ক। সবজিতে থাকে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।
৩. বুটের ডালের হালুয়া ঘি ও মধু দিয়ে
এই মিষ্টি রেসিপিটি শিশুদের জন্য বেশ উপভোগ্য ও পুষ্টিকর।
উপকরণ:
– বুটের ডাল ১/২ কাপ (সিদ্ধ করে ব্লেন্ড করা)
– ঘি ১ চা চামচ
– মধু ১ চা চামচ (১ বছরের বেশি শিশুর জন্য)
প্রণালি:
ব্লেন্ড করা বুটের ডাল ঘিতে ভেজে নিন। পরে ঠান্ডা হলে তাতে মধু মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
পুষ্টিগুণ:
বুটের ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার, ঘি শক্তি জোগায়, আর মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
পরামর্শ:
শিশুর বয়স ৬ মাসের বেশি হলে এই খাবারগুলো ধীরে ধীরে চালু করা যায়।
নতুন খাবার দেওয়ার সময় প্রতিটি খাবার অন্তত ৩ দিন পর্যবেক্ষণে রাখুন, যেন কোনো অ্যালার্জি বা সমস্যা হয় কি না বোঝা যায়।
খাবারের পাশাপাশি শিশুর ঘুম, খেলা ও পানির পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করাও ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ফরিদ