ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল যদি ভাবে ইরানের জনগণ তাদের ‘রেজিম চেঞ্জ’ পরিকল্পনায় সহানুভূতিশীল থাকবে, তবে সেটি ছিল একটি ‘বড় ভুল’—এমনটাই মত দিয়েছেন ন্যাশনাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিলের (NIAC) সভাপতি জামাল আবদি। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা এবং নেতানিয়াহুর বক্তব্য ইরানিদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে, এমনকি যাঁরা আগে ইসলামিক রিপাবলিক বিরোধী অবস্থানে ছিলেন, তাঁরাও এখন নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করছেন।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জামাল আবদি বলেন, “আমি মনে করি এটা নেতানিয়াহুর একটি বড় ভুল হিসাব। ইসলামিক রিপাবলিকের বৈধতা অনেক আগে থেকেই কমে গেছে। ২০২২ সালের 'নারী, জীবন, স্বাধীনতা' আন্দোলন ছিল ইরানিদের গণজাগরণ—যেখানে অনেকেই সরকারের পতন চেয়েছিলেন।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ইসরায়েল বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানে ‘রেজিম চেঞ্জ’ পরিকল্পনায় যুক্ত করতে চেয়েছে এবং একইসাথে তারা এমন এক মনস্তাত্ত্বিক অভিযান (psyops) চালিয়েছে, যা ইরানিদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তবে জামাল আবদির মতে, এই কৌশল এখন উল্টো ফল দিচ্ছে।
আবদি বলেন, “অনেক প্রবাসী ইরানি আগে বিশ্বাস করতেন যে, ইসরায়েল কেবল ইসলামিক রিপাবলিকের সামরিক বা রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা চালাবে, সাধারণ ইরানিদের ক্ষতি করবে না। কিন্তু সেই ধারণা এখন বদলাচ্ছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেছেন, “তেহরানকে বেইরুটে পরিণত করা হবে”—যেটাকে তিনি বলছেন ‘বেইরুট কৌশল’। এই কৌশলে পুরো তেহরান শহরকেই জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি রয়েছে।
আবদি বলেন, “এটা আর শুধুমাত্র সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ নয়, এটি এখন পুরো জাতিকে অস্থিতিশীল করার একটি চেষ্টা। যারা আগে ইসরায়েলকে বন্ধু ভাবতেন, তারা এখন বুঝতে পারছেন গাজা, লেবানন বা সিরিয়ায় যা হয়েছে, সেটিই এবার ইরানের জন্য অপেক্ষা করছে। এটা মুক্তি নয়—এটা মৃত্যু।”
মুমু ২
