
ছবি: সংগৃহীত
বলিউড সুপারস্টার থেকে বিশ্বব্যাপী হলিউড আইকনে রূপান্তরিত হওয়া প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাসের পরিবর্তন শুধু তাঁর পেশাগত জীবনে নয়, দৃশ্যমান তাঁর দেহভাষাতেও। তবে কী ভৌগোলিক অবস্থান সত্যিই আমাদের উপস্থাপনের ধরন বদলে দিতে পারে? খ্যাতিমান মনোচিকিৎসক কানন তান্দির মতে, নিঃসন্দেহে পারে। রাজ শামানির একটি সাম্প্রতিক পডকাস্টে অংশ নিয়ে কানন ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে একজন ব্যক্তির দেহচালন তার ব্যক্তিত্বে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়—এবং এর বাস্তব উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন প্রিয়াঙ্কার মত বিশ্বজনীন ব্যক্তিত্বকে।
‘হলিউডে প্রাণবন্ত, বলিউডে স্থির’
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বিবর্তন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কানন বলেন, তাঁর দেহভাষা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে বদলেছে।
“যখন তিনি হলিউডের সহকর্মীদের সঙ্গে থাকেন, তাঁকে অনেক বেশি প্রাণবন্ত মনে হয়,” মন্তব্য করেন কানন। “এর বিপরীতে, বলিউডে কাজ করার সময় তিনি অনেক শান্ত, সংযত ও স্থির দেখা যায়, যেটা বহু বছর ধরে তাঁর চেনা পরিবেশ।”
কাননের মতে, এই পার্থক্য কোনো রকম বৈপরীত্যের ইঙ্গিত নয় বরং এটি অভিযোজনের প্রতিফলন—বিশ্বপর্যায়ের ব্যক্তিত্বদের জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গুণ।
ভ্রমণ ও সম্পর্ক বদলায় উচ্চারণ ও অভিব্যক্তি
কানন আরও বলেন, প্রিয়াঙ্কার উচ্চারণ পরিবর্তন নিয়ে যেটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়, সেটিও প্রাকৃতিকভাবেই ঘটে।
“তাঁর উচ্চারণের এই পরিবর্তন ইচ্ছাকৃত নয়—এটি অবচেতন। যেসব অঞ্চলে আমরা থাকি ও চলাচল করি, সেটিই আমাদের ভাষা ও উচ্চারণকে প্রভাবিত করে,” ব্যাখ্যা করেন তিনি। ভাষাবিজ্ঞানীদের গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মানুষের উচ্চারণ ভূগোল দ্বারা গঠিত হয়।
তিনি আরও যোগ করেন, প্রিয়াঙ্কা তাঁর স্বামী মার্কিন গায়ক নিক জোনাসের সঙ্গে বসবাস করেন, যা তাঁর সামগ্রিক দেহভাষার ওপরও প্রভাব ফেলেছে।
‘মানুষের প্রতি সহজ সম্পৃক্ততা’ এবং অপরাজেয় আত্মবিশ্বাস
এই পরিবর্তন সত্ত্বেও কানন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অটল আত্মবিশ্বাস ও আন্তরিক ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করেন।
“তিনি একজন ‘পিপলস পারসন’। কারো কথার জবাব দেওয়ার আগে মন দিয়ে শোনেন—এটা তাঁর ভাবনাশীলতাকে প্রকাশ করে,” বলেন কানন। “প্রিয়াঙ্কা নিজেকে নিয়েও হাসতে পারেন, নিজের ভুল স্বীকার করতেও দ্বিধা করেন না। আর এই জিনিসটাই তাঁকে অপরাজেয় আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।”
কানন একটি পুরনো সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ টানেন যেখানে প্রিয়াঙ্কা ক্যামেরার দিকে তাকাতে পর্যন্ত দ্বিধা করছিলেন এবং বেশ নার্ভাস ছিলেন। বর্তমানের দৃপ্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেই ভিডিওর তুলনা করে কানন বলেন, “তিনি অনেক দূর এসেছেন।”
আবির