
ছবিঃ সংগৃহীত
একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে কাজের চাপ—এই পরিস্থিতিতে দিক-বিদিক ছুটতে গিয়ে পরনের কাপড় ভিজে যায় ঘামে। কখনো কখনো সেই ঘাম গায়ে শুকিয়ে গিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই অতিরিক্ত ঘাম কি কেবল গরমেরই ফল, নাকি এর পেছনে রয়েছে শরীরের কোন বিপদের ইঙ্গিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘাম শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। তাই স্বাভাবিক ঘাম শরীর ও ত্বকের জন্য উপকারী।
তবে সমস্যা দেখা দেয় যখন ঘাম হওয়া শুরু করে মাত্রাতিরিক্ত। এতে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও খনিজ লবণ বের হয়ে যায়, যার ফলে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন), ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা, মাথা ব্যথা, ঘোরাঘুরি ভাব, বিষণ্নতা এবং পেশিতে টান।
তাছাড়া অতিরিক্ত ঘামের কারণে ত্বকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন (যেমন রিং ওয়ার্ম, ইন্টারট্রাইগো), ব্রণ, ঘামাচি, হিট র্যাশ ও সানবার্ন হতে পারে। ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতাও হারিয়ে যায়।
করণীয় কী?
✅ অতিরিক্ত রোদ এড়িয়ে চলুন
✅ ছাতা, টুপি বা হ্যাট ব্যবহার করুন
✅ বাইরে যাওয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে স্কিন টাইপ অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
✅ পর্যাপ্ত পানি পান করুন
✅ হালকা ও ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন
✅ দিনে অন্তত একবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন
সঠিক যত্ন ও সচেতনতাই পারে এই গরমে অতিরিক্ত ঘামের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে।
ইমরান