
ছবি: সংগৃহীত।
শিশুর জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুর স্বাস্থ্য ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই সময় এক ফোঁটা পানিও না দিয়ে শুধু বুকের দুধেই সন্তানের সকল পুষ্টি, পানি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক মা বুকের দুধ খাওয়াতে আগ্রহী হলেও ভুল ধারণা ও অজ্ঞতার কারণে মাঝেমধ্যে ফিডারের দুধ বা অন্যান্য খাবার খাওয়ান। শিশুর কান্নাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে অনেকেই মনে করেন যে শিশু যথেষ্ট দুধ পাচ্ছে না, অথচ কান্নার পেছনে থাকতে পারে গ্যাস, ইনফ্যান্টাইল কোলিক বা অন্যান্য সাধারণ কারণ।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই এক-দুবার ফিডারের দুধ দিলে শিশু স্বল্প সময়ের জন্য শান্ত হয়ে যায়, যা পরিবারকে বিভ্রান্ত করে। তবে বারবার এমনটা করলে শিশু “নিপল কনফিউশন”-এ ভুগতে পারে- মায়ের স্তনের নিপল ও ফিডারের নিপলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পেরে ধীরে ধীরে ফিডারের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
ফলে দেখা যায়, শিশু মায়ের বুকের দুধ খেতে চায় না এবং একসময় পুরোপুরি বাইরের দুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এতে মায়ের দুধও কমতে থাকে, যা মা ও শিশুর উভয়ের জন্য ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি শিশু দিনে ছয় থেকে আটবার প্রস্রাব করে, স্বাভাবিক হারে ওজন বাড়ে এবং ঘুম ঠিকমতো হয়, তাহলে বোঝা যায় সে পর্যাপ্ত দুধ পাচ্ছে। এছাড়া, শিশুর কান্না নিয়ে সন্দেহ থাকলে বা দুধ খাওয়ানোর টেকনিকে সমস্যা হলে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পরিশেষে তারা জোর দিয়ে বলেন, সামান্য ভুলে যেন শিশুর প্রাকৃতিক পুষ্টির উৎস নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সচেতনতা ও সঠিক পরামর্শে মায়েরা সহজেই তাদের সন্তানকে প্রথম ৬ মাস শুধুমাত্র বুকের দুধ খাইয়ে সুস্থ রাখতে পারবেন।
মিরাজ খান