
"হৃদয়ের যত্ন নিতে হলে ওষুধ নয়, রান্নাঘরেই লুকিয়ে আছে সমাধান!"
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? হৃদপিণ্ডকে রাখতে চান সুখী ও সুস্থ? তাহলে নজর দিন আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার দিকে। প্রকৃতির ঝুলিতে এমন অনেক খাবার আছে যা শুধু স্বাদই বাড়ায় না, বরং নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তচাপ ও রক্ষা করে হৃদয়ের সুস্বাস্থ্য।
চলুন জেনে নিই এমনই ৫টি ঘরোয়া উপাদান—যা সহজেই আপনাকে দিতে পারে এক স্বাস্থ্যকর হৃদয়ের চাবিকাঠি।
১. মসলা দেওয়া চানা ছোলা
ঝাল-মশলাদার কোনো হেলদি স্ন্যাক্স খুঁজছেন? তাহলে 'চানা ছোলা' হতে পারে আপনার হৃদয়ের সেরা বন্ধু।
চানা দিয়ে তৈরি এই জনপ্রিয় স্ন্যাক্সে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কম ফ্যাটযুক্ত ও প্রোটিনে ভরপুর চানা, সঙ্গে হলুদ, সরিষা ও শুকনো মরিচের ঝাঁঝ—এই উপাদানগুলো একসঙ্গে মিলে তৈরি করে একটি সুস্বাদু ও হৃদয়বান্ধব খাবার।
২. অশ্বগন্ধা
প্রাচীন আয়ুর্বেদিক ভেষজ 'অশ্বগন্ধা' শুধু মন শান্ত করে না, বরং সরাসরি স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
নিয়মিত অশ্বগন্ধা সেবনে মানসিক চাপ কমে, যার ফলে হৃদয়ও থাকে শান্ত ও সুস্থ। শরীর ও মনের ভারসাম্য রক্ষায় এটি এক কার্যকরী উপায়।
৩. আমলকি
এই ছোট্ট টক-মিষ্টি ফলটি হচ্ছে প্রাকৃতিক ভিটামিন C-এর উৎস।
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তনালী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং কমায় কোলেস্টেরল।
চাটনি, রস বা কাঁচা অবস্থায় খেলে হৃদয় পাবে সতেজতা ও সুরক্ষা—একদম ভেতর থেকে।
৪. তেঁতুল
তেঁতুলের টক-মিষ্টি স্বাদ যেমন মুখে জল আনে, তেমনি এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত উপকারী।
তেঁতুল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করে, ফলে হৃদপিণ্ড থাকে চনমনে ও কর্মক্ষম।
তেঁতুল দিয়ে বানানো চাটনি, পানীয় কিংবা তরকারিতে ব্যবহৃত হলে তা স্বাদ ও স্বাস্থ্যের যুগলবন্দি হয়ে উঠতে পারে।
৫. কারিপাতা
অনেকেই রান্নায় কারিপাতা ব্যবহার করলেও, এর স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানেন না।
কারিপাতা সমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারে, যা রক্তচাপ কমায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে।
প্রতিদিনের রান্নায় কয়েকটি কারিপাতা ফোড়নে দিলে বা চা বানিয়ে খেলে হৃদয় থাকবে তরতাজা, রক্তসঞ্চালন হবে আরও উন্নত।
রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের যত্ন নিতে হলে শুধু ওষুধ নয়, খাবারের মাধ্যমেও হতে পারে সুস্থতার পথ। এই ৫টি খাবার যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তবে হৃদয়ের প্রতি আপনি এক বড় ভালোবাসা দেখাতে পারবেন। স্বাস্থ্যের চাবি এখন আপনার হাতেই—শুধু বেছে নিতে হবে ঠিক খাবারগুলো।
সায়মা জাহান