ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

নারী না পুরুষ, কে ভালো চুমু খায়? গবেষণা যা বলে 

প্রকাশিত: ২২:১৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪

নারী না পুরুষ, কে ভালো চুমু খায়? গবেষণা যা বলে 

নারীরা চুমু খায় রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে।

চুমু! এই ছোট্ট শব্দটার মধ্যে লুকিয়ে হাজারটা ইমোশন! ভালোবাসার এই অভিব্যক্তির সঙ্গে জুড়ে কত না নস্টালজিয়া! চুমুর কোনো বিকল্প হয় না! কিন্তু নারী না পুরুষ? কে বেশি ভালো চুমু খায়? সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, নারী ও পুরুষ দুজনেই চুমু খান, তবে উদ্দেশ্য থাকে আলাদা। পুরুষ সাধারণত চুমু খায় যৌনতা বোধের জন্য অথবা সবকিছু মিটমাট করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে। অন্যদিকে নারীরা চুমু খায় রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে।

চুমুর অনেক প্রকারভেদ আছে। বিদায়ের চুমু, স্বাগতের চুমু, স্নেহপূর্ণ চুমু…। তবে প্রেমের চুমু আর শারীরিক সম্পর্কের চুমু নিয়েই মানুষের মধ্যে কৌতূহল বেশি। কিন্তু কে বেশি ভালো চুমু খায়? নারী না পুরষ? 

নিউইয়র্কের ইউনিভার্সিটি অ্যাট অ্যালবানির এভ্যুলিউশনারি সাইকোলজিস্ট অধ্যাপক গর্ডন গ্যালাপ জুনিয়রের মতে, ‘কেউ হয়তো চুম্বনকারী হিসেবে কোনো সঙ্গীর কাছে খারাপ, আবার আরেকজনের কাছে ভালো। চুম্বনকারী হিসেবে কাউকে ভালো লাগা মানে হচ্ছে তার সঙ্গে আপনার জিনগত মিল রয়েছে।’

চুমু এত আকর্ষণীয় কেনো? জৈব-নৃতাত্ত্বিক হেলেন ফিশার বলেন, মানুষের দেহের অন্যতম পাতলা ত্বক রয়েছে ঠোঁটে। একই সঙ্গে ঠোঁটে রয়েছে অসংখ্য স্নায়ুর মুখ। এ কারণে ঠোঁটের মাধ্যমে মানুষ আরেকজনের তাপমাত্রা, স্বাদ ও গন্ধ অনুভব করতে পারে। ঠোঁটের লাখ লাখ স্নায়ু চুম্বনের মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠালে তীব্র সুখের অনুভূতি তৈরি হয়। চুমু মস্তিষ্কের ডোপামিন সিস্টেমকে চালু করে দিয়ে মানুষকে প্রেমের দিকে ধাবিত করতে পারে। ডোপামিন ভালোবাসার অনুভূতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

লালায় প্রচুর পরিমাণে টেস্টোটেরন থাকে, যা শারীরিক সম্পর্ককে পরিচালিত করে। আর গালের ভেতরের কোষগুলো টেস্টোটেরন গ্রহণ করে। ফলে ওয়েট কিস (সিক্ত চুম্বন) তাড়না সৃষ্টি করে। এ সময় ডোপামিন রোমান্টিক প্রেম জাগিয়ে তোলে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে অক্সিটোসিন, যাকে সাধারণত ‘কাডল হরমোন’ বলা হয়।

ফিশারের মতে, অক্সিটোসিন মানসিক ঘনিষ্ঠতার অনুভূতি তৈরি করে, দেহে স্ট্রেস বা চাপের জন্য দায়ী কোর্টিসল হরমোনের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। কাজেই মিলনের জন্য চুমু অত্যন্ত শক্তিশালী হাতিয়ার।

এম হাসান

×