ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০

ডেঙ্গু পরীক্ষায় বাড়তি ফি

ভাটারা জেনারেল হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভাটারা জেনারেল হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা

ভাটারা জেনারেল হাসপাতাল 

নিবন্ধনবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনিস্টক সেন্টার বন্ধে গত বছরের ২৬ মে দেশজুড়ে অভিযান শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ৩ দিনে তখন দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে ৫শ টি অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়। যার মধ্যে রাজধানীতেই ছিলো ১৬৪টি প্রতিষ্ঠান। 

সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোর উপ-পরিচালক ডা. বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটারা জেনারেল হাসপাতালকে বন্ধ ঘোষণা করেছি। এই কার্যক্রম আরও কিছুদিন পরিচালনা করব।

পরবর্তীতে একই বছরের ২৯ আগস্ট দ্বিতীয় ধাপেও চালানো হয় অভিযান। ওইসময় ৮৫০টি অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেয়ায়। বন্ধ হওয়া হাসপাতালগুলোর মধ্যে রাজধানীতেই ছিলো ২০টি প্রতিষ্ঠান। এবার আবারও এসব অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

অভিযানের প্রথম দিনেই ডেঙ্গু পরীক্ষা বাড়তি ফি আদায় করার অভিযোগে বন্ধ ঘোষণা করা ভাটারা জেনারেল হাসপাতালটিকে। ডেঙ্গু পরীক্ষায় বাড়তি ফি আদায় ও লাইসেন্স নবায়ন না করারও অভিযোগ ছিলো হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। 

এর আগে, গত রবিবার এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামার ঘোষণা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। তখন তিনি জানান, সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমরা গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ফের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি। যারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবারো ব্যবস্থা নেব। 

এর আগে এক স্বাক্ষাতকারে অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতারণা বন্ধে আমাদের নানা ধরনের উদ্যোগ চলমান। অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান ও সাইনবোর্ডে লাইসেন্স নম্বর লেখা বাধ্যতামূলক করা সেই উদ্যোগেরই অংশ। 

এর আগে অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে আমরা তিন দিন সময় দিয়েছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যাতে করে অনিবন্ধিত ও অনিয়মের দায়ে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলো আবার গড়ে না ওঠে সেজন্য অভিযান চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। মানুষের জীবন নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।

 

স্বপ্না