সালমান খান। ছবি: সংগৃহিত
নিস্তার নেই সালমান খানের। একাধিক বার ফোনে হুমকি দেয়া হয়েছে তাকে। এক সপ্তাহের মধ্যে দু’বার হুমকি পেয়েছেন এই বলিউড অভিনেতা। গত সোমবার রাতেও মুম্বাই পুলিশের কন্ট্রোল রুমে গ্যাংস্টার লরেন্সবিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোলের নাম করে হোয়াটস্অ্যাপে ফোন করে হুমকিবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় ৫ কোটি টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া ৩৫ বছর এর যুবককে।
ফোনে সেই যুবক বলে, “লরেন্সের ভাই বলছি, সালমান খানকে যদি বাঁচাতে চান, তবে আমাদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন। আর যদি তা না করেন, তা হলে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে। দু’টির কোনটিই যদি না করেন, তবে সালমানকে হত্যা করা হবে। আমাদের গ্যাং এখনও নজর রাখছে।” যদিও পরে জানা যায়, এই ব্যক্তি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল নন। ওই যুবকের নাম বিক্রম। কর্নাটকের বাসিন্দা। পেশা অবশ্য জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুম্বাই নিয়ে আসা হচ্ছে বিক্রমকে।
তবে পাঁচ কোটি চেয়ে এই প্রথম নয়, হুমকিবার্তা আগেও এসেছে। গত ১৮ অক্টোবর মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশের হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম করে একটি হুমকিবার্তা আসে। বলা হয়, সালমান খানকে অবিলম্বে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে। না হলে এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির থেকেও করুণ পরিণতি হবে তার। এর পরই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জামশেদপুর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, বিষ্ণোইয়ের নাম করে সে-ও সালমানকে হুমকি দিয়েছিল! এই একই কায়দায় হুমকি পাঠিয়েছে কর্নাটকের বিক্রমও।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হুমকিবার্তা আসছে সালমানের কাছে। তবে ভয় পেয়ে নিজেকে গৃহবন্দি রাখেননি সলমন। সিনেমা থেকে বিজ্ঞাপন কিংবা রিয়্যালিটি শো; সবকিছুরই শুটিং করছেন অভিনেতা।
বর্তমানে সালমানকে ‘ওয়াই’ কাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। ১২ অক্টোবর মুম্বাইয়ে সালমান-ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকি খুন হন। সেই সময় ‘সিকান্দর’ ছবির শুটিং করছিলেন ভাইজান। খবর পেয়েই তিনি শুটিং ফ্লোর থেকে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছন। পরের দিন তিনি সিদ্দিকির শেষকৃত্যেও উপস্থিত ছিলেন। গুজব ছড়িয়েছিল, নিরাপত্তার কারণে সালমানের ছবির শুটিংয়ের তারিখ ও সময় বাতিল করা হবে। কিন্তু, অভিনেতা সে সব গুজবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাজে ফেরেন।
এই মুহূর্তে হায়দরাবাদের যে বিলাসবহুল হোটেলে সালমান রয়েছেন, সেখানে কর্মীদের বেশ কয়েকটা নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে অভিনেতার কাছে পৌঁছতে হবে। ঢোকা ও বেরানোর সময় পরিচয়পত্র দেখাতেই হবে। এ ছাড়াও, অভিনেতা শুটিং করছেন যেখানে, সেখানে বেশ কিছু নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তা ছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন প্যারামিলিটারিরা। সেই সঙ্গে সালমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ও সর্ব ক্ষণের ছায়াসঙ্গী শেরা রয়েছেন। তার উপরে হায়দরাবাদ পুলিশও দিয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ভাইজানের ধারে কাছে যাতে কেউ ঘেঁষতে না পারে, তার জন্যই এতটা কড়াকড়ি।
নুসরাত