.
দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী অর্ণবের স্ত্রী সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েক বর্তমানে বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরের শান্তিনিকেতন এলাকায় বসবাস করছেন। শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীতে সিবিআইয়ের পরিচয় দিয়ে সাইবার অপরাধীরা সুনিধিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় ৭ লাখের বেশি নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, সুনিধি বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনের প্রাক্তন ছাত্রী এবং কর্ম সূত্রে পূর্বপল্লীতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এর মধ্যে বুধবার বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। সেই দিনই অজ্ঞাত কিছু লোককে বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। তারা হায়দরাবাদের সিবিআই পরিচয় দিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাকে হুমকি দিতে থাকেন। সুনিধি ও তার বাবার প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং সাড়ে পাঁচ লাখ রুপি আদায় করেন।
শুধু তাই নয়, গায়িকার ছবিও পর্নোসাইটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শান্তিনিকেতনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানা। সুনিধি জানান, বুধবার তার কাছে ফোন আসে। বলা হয়, সুনিধি নাকি নরেশ গোয়েল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত। এমনকি তার নামে নাকি একটি ক্রেডিট কার্ডও তোলা হয়েছে। এর পরেই সুনিধিকে বলা হয় তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কথোপকথন এভাবে শুরু হলেও পরে তাকে ও তার বাবাকে খুনের হুমকি দিতে থাকেন অভিযুক্তরা। খুনের হুমকি পেয়ে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার ৭ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন সুনিধি।
গায়িকা বলেন, ওরা আমার ও বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য জানে। একটা গল্প বানিয়ে বলে, আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় আমি নাকি ধরা পড়েছি! খুনের হুমকিও দেওয়া হয় আমাদের। বাড়ির বাইরে এক অজ্ঞাত পরিচয়কে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি। ওরা ৬-৭ মাস ধরে নজরদারি চালাচ্ছিল আমার ওপরে। এও বলেছে, আমি যদি মুখ খুলি তা হলে নরেশ গোয়েল আমাকে মেরে ফেলবে। হিন্দি এবং ইংরেজিতে কথা বলছিল ওরা। সুনিধি আরও বলেন, প্রথমে আমি ভেবেছিলাম সত্যিই হয়তো হায়দরাবাদের সিবিআই পুলিশ ফোন করেছেন।