লোকগানের আসরে সংগীত পরিবেশন করেন সুস্মিতা আক্তার
নাগরিক জীবনে শেকড়ের সুর শুনলে প্রফুল্ল হয়ে ওঠে মন। স্মৃতিকাতর সেই মন স্মরণ করিয়ে দেয় লোকায়ত জীবনের কথা। কংক্রিটের এই নগরীতে অনুষ্ঠিত হলো তেমনই এক সংগীতাসর। মাটির গানে সজ্জিত পাঁচ দিনব্যাপী সঙ্গীতানুষ্ঠানটির শেষ দিন ছিল বুধবার। এদিনও লোকগানের মায়াবী সুরে সিক্ত হয়েছে শ্রোতার অন্তর।
একতারা-দোতারাসহ নানা বাদ্যযন্ত্রের সুরেলা শব্দধ্বনিকে সঙ্গী করে বাউলেরা শুনিয়েছেন বাংলার লোককবিদের রচিত একগুচ্ছ মনভোলানো গান। সেই সুবাদে কাজের শেষে সন্ধ্যার অবকাশে সুররসিকদের অনেকেই হাজির হয়েছিলেন সোহরাওয়াদী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চে। এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজিত মহাজনের পদাবলী শীর্ষক লোকগানের আসরের সমাপনী দিনের পরিবেশনা।
সান্ধ্যকালীন পরিবেশনা পর্বের শুরুতেই মঞ্চে আসেন সুস্মিতা আক্তার। কণ্ঠে তুলে নেন ভাওয়াইয়া গানের সুর। বিরহী ভাবের প্রকাশে গেয়ে শোনানÑ তোরসা নদীর উথাল পাতাল কার বা চলে নাও/নারীর মন মোর উথাল পাতাল কার বা চলে নাও ...। এই শিল্পীর পরিবেশিত দ্বিতীয় গানের শিরোনাম ছিল ‘ধীকো ধীকো ধীকো মৈষাল রে’। পরিবেশনা পর্বের আগে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।