![সন্তুর-তবলার যুগলবন্দিতে মুগ্ধ শ্রোতা সন্তুর-তবলার যুগলবন্দিতে মুগ্ধ শ্রোতা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023May/bino-4-2403031517.jpg)
রাহুল চ্যাটার্জী ও অনন্যা বাগের তবলা এবং সন্তুর পরিবেশন
ভারতীয় শিল্পীদের সন্তুর আর তবলার যুগলবন্দিতে মুগ্ধ বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের শ্রোতারা। শনিবার যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটি ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট। সন্তুর এবং তবলার সঙ্গত পরিবেশন করেন ভারত থেকে আগত দুই তরুণ শিল্পী অনন্যা বাগ এবং রাহুল চ্যাটার্জী। অনুষ্ঠানে অনন্যা বাগের সন্তুর এবং রাহুল চ্যাটার্জীর তবলা সঙ্গতে ডুবে যান সুরের অমোঘ জাদুতে।
মন্ত্রমুগ্ধের মতো তারা ভেসে যান এক অন্য জগতে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহীন সামাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটির উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনন্যা এবং রাহুলের পরিবেশনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। এই মুগ্ধতা আমাদের মনে অনেক দিন গেঁথে থাকবে।
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শাহীন সামাদ সন্তুর এবং তবলার সঙ্গতে মুগ্ধতা প্রকাশ করে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটির প্রশংসা করেন।
প্রসঙ্গত, অনন্যা বাগের বাজানো সন্তুর একটি শততন্ত্রী বীণা; যাতে একশ’ তার রয়েছে। যেহেতু ঝরনার শব্দ থেকে এই যন্ত্রের কল্পনা করা হয়, তাই এই যন্ত্রটিকে প্রাকৃতিক যন্ত্র বলা হয়। হাতেগোনা যে কয়েকজন নারী শিল্পী সারাবিশ্বে এই যন্ত্রটি বাজান তার মধ্যে অনন্যা বাগ একজন। অন্যদিকে, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের জগতে এবং লক্ষেèৗ ঘরানার বিশেষ বাদনশৈলীর জন্য রাহুল চ্যাটার্জী ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।