রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রূপের রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। কীভাবে এখনও এত সুন্দরী তিনি?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সঞ্চালনা করছেন বাংলার ১ নম্বর রিয়েলিটি শো দিদি নম্বর ১-এর। শুধু যে শো-র টিআরপি ধরে রেখেছেন তা নয়, সঙ্গে যেন নিজেকেও একইরকম রেখেছেন। দিদি নম্বর ১-এ খেলতে আসা তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই টিভির দিদির কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন কীভাবে এখনও এত ফিট তিনি।
১৯৭৪ সালের ২ অক্টোবর জন্ম রচনার। সেই হিসেবে বয়স এখন ৪৮। টানা এত বছরের কেরিয়ারে বেশিরভাগ দিনই তাঁকে আসতে হয় ক্যামেরার সামনে। অর্থাৎ করতে হয় চড়া মেকআপ। তাতেও কীভাবে এত ভালো ত্বক, এত ছিপছিপে চেহারা। এবার দিদি নম্বর ১-এ এসে এরকম প্রশ্নই রচনাকে করেছিলেন অভিনেত্রী দর্শনা বণিক।
রচনা বলেন, ‘আমি স্পেশ্যাল কিছ্ছু করি না। সব খাই। সবাই যা করে তাই করি’। দর্শনা ফের প্রশ্ন করেন, ‘ঘুমনোর আগে বা বেরুনোর আগে কিচ্ছু মাখো না?’ রচনা হাসতে হাসতে জবাব দেন, ‘আরে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্রিম মাখি। আর দিনের বেলা বেরোলে সানস্ক্রিন মাখি। ব্যাস। আর কিছুই সেরকম না।’
একসময় চুটিয়ে কাজ করেছেন বাংলা ছবিতে। ১৯৯৩ সালে দান প্রতিদান দিয়ে শুরু। তাঁর আর প্রসেনজিতের জুটি মিস করেন দর্শকরা এখনও। তবে ২০১৫ সালের বৌদি.কমের পর তাঁকে আর বড় পর্দায় দেখা যায়নি। দিদি নম্বর ১-এর সেকেন্ড সিজন থেকে দেখা যেতে শুরু করে তাঁকে। মাঝে ৩ ও ৫ নম্বর সিজনটির সঞ্চালনা করেছিলেন জুন মালিয়া ও দেবশ্রী রায়।
রচনা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন প্রথমদিকে, টিভিতে আসা নিয়ে বেশ দ্বিধায় ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে দিদি নম্বর ১ তাঁকে যে স্বীকৃতি দিয়েছে তা অবিশ্বাস্য। যা এর আগে পাননি কখনোই। বাংলার প্রতিটা কোণায়, ঘরে-ঘরে প্রতিটা মানুষের মনে এখন জায়গা করে নিয়েছেন দিদি নম্বর ১-এর কারণেই! বর্তমানে জি বাংলার এই গেম শো-র সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে গিয়েছে রচনার নাম। রচনাকে ছাড়া দিদি নম্বর ১ ভাবাই যায় না।
এমএস