ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পালোকে বর্ণিল ‘বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত’

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ১ ডিসেম্বর ২০২২

শিল্পালোকে বর্ণিল ‘বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত’

বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সঙ্গীতানুষ্ঠানে গাইছেন নবনীতা চৌধুরী

হেমন্তের সকালে সজীব হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বর। গানের সুরে উচ্চারিত হলো স্বদেশের বন্দনা। কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে প্রকাশিত হলো বিজয়ের বীরত্বগাথা। সুরকে সঙ্গী করে নাচের নান্দনিকতায়  উপস্থাপিত হলো বাঙালির সংগ্রামী অধ্যায়। আর এভাবেই শিল্পের আলোয় বর্ণিল রূপে ধরা দেয় বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার। বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনার সঙ্গে বিশিষ্টজনদের কথনে সজ্জিত আয়োজনটির শিরোনাম ছিল ‘বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত’।

সৃজনশীল সংগঠন পদক্ষেপ বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানটি থেকে প্রতিবছরের পয়লা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন এবং স্বীকৃতি প্রদানের আহ্বান জানানো হয়। আলোচনায় বক্তারা ধর্মীয় বিদ্বেষকে রুখে দিয়ে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সংগীতের আশ্রয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন অনন্যা দাস মৌ। দরদী কণ্ঠে  গেয়ে শোনান-  যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা/সে মাটি আমার অঙ্গে মাখিয়ে দে না ...।

একাত্তরের রণাঙ্গনের প্রেরণাদায়ী গান নিয়ে মঞ্চে আসে সমস্বরের শিল্পীরা। অনেকর কণ্ঠের সম্মিলিত উচ্চারণে পরিবেশিত হয়- পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে/রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল/জোয়ার এসেছে জনসমুদ্রে ...। অভিন্ন অনুভবে মাসুদ রানা শুনিয়েছেন ‘নোঙ্গর তোল তোল সময় যে হলো হলো’।  স্বপ্ন বিকাশ কলা কেন্দ্রের দলীয় পরিবেশনায় গাওয়া হয়Ñ মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে ...।

এছাড়া অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবেশন করেন  অনিমা রায়, ঐশ্বর্য্য বসাক ও ওয়াদুদ সরকার। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সপ্তকলির আসর, সুরনন্দন নজরুল সংগীত চর্চা বেন্দ্র ও পঞ্চায়েত। দেশাত্মবোধক গানের সুরে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন ও স্বপ্ন বিকাশ কলা কেন্দ্র। কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে একক কণ্ঠে আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিক শিল্পী মীর বরকত ও নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি।  বৃন্দ আবৃত্তি  পরিবেশন করে কথা আবৃত্তি চর্চা বেন্দ্র,  ঢাকা স্বরকল্পন ও উদ্ভাসন।   
রাষ্ট্রপতি  মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বাণী পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন  লেখক ও গবেষক মফিদুল হক, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম আযম খসরু, জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জিকে বাবুল ও শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের  চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ। সভাপতিত্ব করেন পদক্ষেপ বাংলাদেশের  কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি বাদল চৌধুরী। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুন নিসা।

×