ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বপ্ন পূরণে অনন্যা জয়িতা

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৫৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্বপ্ন পূরণে অনন্যা জয়িতা

.

 সঙ্গীতশিল্পী অনন্যা জয়িতার গানে হাতেখড়ি মায়ের কাছেই। পরর্তীতে লুৎফুল হাসান মিলন, ২০০৭ থেকে সঞ্জীব দের কাছে ক্ল্যাসিক্যাল, ছায়ানটে নজরুল সঙ্গীতের সব কোর্স প্রায় সম্পন্ন করেছেন। খুব ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন ও মিতালী মুখার্জির যে গানগুলো গেয়ে অভ্যস্ত জয়িতা তার মধ্যে অধিকাংশ গানেরই সুরকার আলাউদ্দীন আলী। যে কারণে মায়ের কাছে একসময় জয়িতা বায়না ধরে আলাউদ্দীন আলীর সুরে গান গাওয়ার।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একদিন সুযোগ হলো জয়িতার আলাউদ্দীন আলীকে গান শোনানোর। আর তখনই আলাউদ্দীন আলী জয়িতার মাঝে নতুন এক সম্ভাবনা দেখতে পেলেন। জয়িতার কণ্ঠে মুগ্ধ হয়ে জয়িতারই জন্য আলাউদ্দীন আলী চারটি গান লিখলেন এবং সুর করলেন। আলাউদ্দীন আলীর ইচ্ছে ছিলো একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জয়িতাকে সবার সামনে তুলে ধরবেন। কিন্তু তার আগেই চলে গেলেন তিনি। কিন্তু জয়িতা আর তার মা আলাউদ্দীন আলীর সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন জয়িতার কণ্ঠের প্রথম গানের এ্যালবাম ‘প্রাণের মানুষ’ প্রকাশের মধ্যদিয়ে।

গানগুলোর শিরোনাম হচ্ছে ‘সন্ধ্যা আকাশ’, ‘যে কথা বলতে পারিনা’, ‘তোমার মন ছিল না বলে’ ও ‘প্রাণের মানুষ’। গানগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছেন ফোয়াদ নাসের বাবু। আলাউদ্দীন আলীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ এবং নিজের স্বপ্নপূরণ হওয়া প্রসঙ্গে অনন্যা জয়িতা বলেন, স্যারের ছোট মেয়ের নাম রাজকন্যা। তিনি আমাকে এতটাই স্নেহ করতেন যে আমাকে আদর করে বড় রাজক্যনা ডাকতেন। আমি কখনও ভাবতেও পারিনি যে স্যার আমার জন্য গান লিখেবেন, সুর করবেন। কিন্তু আমার মা সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই উদ্যোগী হন। স্যারের ইচ্ছে ছিল আমাকে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সবার সামনে আনতে। কিন্তু স্যারই আজ নেই। ভাবলেই খুব কষ্ট হয়। এরইমধ্যে গানগুলো প্রকাশিত হলো। আজ তিনি বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশিই হতেন তিনি। আমার শেষ গানগুলোর মধ্যদিয়েও স্যার বেঁচে থাকবেন, এটাই আমার প্রাপ্তি।

 

×