ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

১৮ গুণী ও দুই সংগঠনকে শিল্পকলা পদক প্রদান

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:১৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

১৮ গুণী ও দুই সংগঠনকে শিল্পকলা পদক প্রদান

অতিথিদের সঙ্গে ২০১৯ ও ২০২০ সালের শিল্পকলা পদকপ্রাপ্ত গুণীজনরা

মুক্তিযুদ্ধসহ এদেশের প্রতিটি প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম ও অর্জনে শিল্পের আশ্রয়ে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। পাশাপাশি মানবিক সমাজ বিনির্মাণেও রয়েছে তাদের অশেষ অবদান। নাটক, সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রকর্মসহ শিল্পের সকল শাখার মাধ্যমে অব্যাহত রয়েছে তাদের শিল্পিত সংগ্রাম। হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের লালন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা।

শিল্প ও সংস্কৃতিতে নিবেদিত প্রাণ সেই সকল গুণীজনের অবদানের স্বীকৃতি জানাতে ২০১৩ সাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রবর্তন করে শিল্পকলা পদক। মাঝে করোনা মহামারীর কারণে এই পদক প্রদান স্থগিত থাকায় এ বছর একসঙ্গে ২০১৯ ও ২০২০ সালের শিল্পকলা পদক প্রদান করা হলো। দুই বছরে ১৮ গুণীজন ও দুই সাংস্কৃতিক সংগঠন অর্জন করেছে পদক। বৃহস্পতিবার বর্ণিল আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও সংগঠনের পদক তুলে দেয়া হয়।
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সংস্কৃতি সচিব মোঃ আবুল মনসুর। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আলোচনা ও পদক প্রদান শেষে একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
২০১৯ সালে শিল্পকলা পদকপ্রাপ্তরা হলেন- নাট্যকলায় মাসুদ আলী খান, কণ্ঠ সঙ্গীতে হাসিনা মমতাজ, চারুকলায় আবদুল মান্নান, চলচ্চিত্রে অনুপম হায়াৎ, নৃত্যকলায় লুবনা মারিয়াম, লোকসংস্কৃতিতে শম্ভু আচার্য্য, যন্ত্রসঙ্গীতে মোঃ মনিরুজ্জামান, ফটোগ্রাফিতে এমএ তাহের, আবৃত্তিতে হাসান আরিফ এবং সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে ছায়ানট। বাচিকশিল্পী হাসান আরিফ প্রয়াত হওয়ায় শিল্পীর পক্ষে পদক গ্রহণ করেন তার বোন রাবেয়া রওশন।

২০২০ সালের পদকপ্রাপ্তরা হলেন- কণ্ঠসঙ্গীতে মাহমুদুর রহমান বেণু, চারুকলায় শহিদ কবীর, যন্ত্রসঙ্গীতে মোঃ সামসুর রহমান, ফটোগ্রাফিতে আ ন ম শফিকুল ইসলাম স্বপন, চলচ্চিত্রে শামীম আখতার, নাট্যকলায় মলয় ভৌমিক, আবৃত্তিতে ডালিয়া আহমেদ, লোকসংস্কৃতিতে শাহ আলম সরকার, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে দিনাজপুর নাট্য সমিতি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের লালন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে তারা নিঃস্বার্থভাবে অবদান রেখে চলেছেন।
আলোচনা ও পদক প্রদান শেষে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দিলরুবা সাথী ও ইমতিয়াজ আহমেদ।

×