পপ সম্রাজ্ঞী ম্যাডোনা
বিশ্বে পপ সম্রাজ্ঞী হিসেবেই পরিচিত ম্যাটেরিয়াল গার্ল ম্যাডোনা। এছাড়াও তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিতর্ক, মানবিকতা, যৌনতা, বাণিজ্য, ফ্যাশনসহ অনেক কিছু। এমনকি তাকে নিয়ে পড়ালেখার জন্য ‘ম্যাডোনা স্টাডিজ’ নামে একটি সাব-ডিসিপ্লিনও রয়েছে।
জীবনের ৬৪ বছর পূর্ণ করে ৬৫ বছরে পা রাখলেন গায়িকা, গীতিকার, ফ্যাশন আইকন ও অভিনয়শিল্পী ম্যাডোনা লুইজ চিকন। সেই সঙ্গে ছেলে রোকো রিচির ২২তম জন্মদিনও উদযাপন করলেন।
নিজের ও ছেলের জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ইতালিতে বিলাসবহুল আয়োজন করেন ‘কুইন অব পপ’। সিসিলির পালাৎসো কাস্তেলুচিওতে আয়োজিত এই উৎসবে পরিবার পরিজন ছাড়াও বিপুল সংখ্যক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী ও তারকাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রতিবছরই দারুণ ঘটা করে জন্মদিন উদযাপন করেন ম্যাডোনা। তবে এবারের উদযাপনটি হতে যাচ্ছে বিশেষ কিছু। অবশ্য ৭০ কোটি পাউন্ড সম্পদের মালিকের জন্য এটাই বরং স্বাভাবিক।
সঙ্গীত তারকা বিয়ন্সের ‘ব্রেক মাই সোল’র একটি রিমিক্সে অংশ নেন ম্যাডোনা। এছাড়া টিকটক র্যাপার সসি সান্তানার সঙ্গে নিজের ১৯৮৪ সালের হিট গান ‘ম্যাটেরিয়াল গার্ল’র একটি রিমিক্সও প্রকাশ করেছেন। গত সপ্তাহে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে চিক ব্যান্ডের নাইল রজারের সঙ্গে একটি অ্যালবাম উদ্বোধন পার্টিতেও অংশ নেন। সেখানে তার রিমিক্স অ্যালবাম ‘ফাইনালি এনাফ লাভ’ উদ্বোধন উদযাপন করা হয়।
কীভাবে তার রেকর্ড গড়া ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তা নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন টক শো’তে ম্যাডোনা বলেন, ‘আমি আমার ক্যাসেট টেপগুলো ক্লাবের ডিজেদের কাছে নিয়ে যেতাম এবং তাদের সেগুলো বারবার বাজাতে উৎসাহিত করতাম।’
ম্যাডোনার কণ্ঠস্বর ছিল আশির দশকের সবচেয়ে মাদকতাময় কণ্ঠস্বরগুলোর একটি। ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে ম্যাডোনাকে এমটিভি, বিলবোর্ড এবং মিউজিশিয়ান ম্যাগাজিন ‘দশকের শিল্পী’ হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়।
১৯৫৮ সালের ১৬ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগানের বে সিটিতে ক্যাথলিক পরিবারে জন্ম ম্যাডোনার। তারা ছিলেন ছয় ভাই-বোন। তাকে সবাই ‘লিটল ননি’ বলে ডাকতেন। ১৯৬৩ সালে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মা মারা গেলে ১৯৬৬ সালে গৃহপরিচারিকাকে বিয়ে করেন তার বাবা। যেখানে রয়েছে তার আরও দুই সৎ ভাই বোন। এই বিয়ে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি ছোট্ট ম্যাডোনা। যার ফলে চিড় ধরে তাদের সম্পর্কে।
ম্যাডোনা বেপরোয়া চলাফেরায় ছিলেন নিন্দিত। ছেলেদের দৃষ্টি আকর্ষণে স্কার্ট টেনে পরতেন। ৩৫ ডলার নিয়ে প্রথম নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমান তিনি।
এমএইচ