ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

শ্রেষ্ঠ ছাত্রজীবনের জন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সেরা ১০টি শহর

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ৯ মে ২০২৫; আপডেট: ১৬:০০, ৯ মে ২০২৫

শ্রেষ্ঠ ছাত্রজীবনের জন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সেরা ১০টি শহর

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা, উন্নত শিক্ষা, এবং চাকরির সুযোগ নিয়ে ২০২৫ সালের কিউএস বেস্ট স্টুডেন্ট সিটিজ তালিকায় উঠে এসেছে বিশ্বের সেরা ১০টি শিক্ষানুগত্য শহরের নাম। প্রতিটি শহরেই আছে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও আকর্ষণীয় জীবনধারা।

১. লন্ডন, যুক্তরাজ্য:
২০২৫ সালের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে লন্ডন। ইম্পেরিয়াল কলেজ, ইউসিএল, কিংস কলেজ, এলএসই ও কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির মতো বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। শহরটির ৩৬% বাসিন্দাই আন্তর্জাতিক, যা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিশেষ স্বস্তি। সবুজ পরিপূর্ণতায় ভরপুর লন্ডনে শিক্ষাব্যয় কিছুটা বেশি হলেও জীবনের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত সমৃদ্ধ।

২. টোকিও, জাপান:
এশিয়ার সেরা শিক্ষার্থী-বান্ধব শহর হিসেবে টোকিও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। চাকরির সুযোগের দিক দিয়ে এটি বিশ্বে প্রথম। ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও, ওয়াসেদা ও কেইও বিশ্ববিদ্যালয়সহ রয়েছে উচ্চমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জীবনের মান ও নিরাপত্তা এখানে অত্যন্ত উন্নত।

৩. সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া:
সিউল এখন দ্রুতই শিক্ষার্থীদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইয়োনসে ইউনিভার্সিটি সহ বহু নামকরা প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিচিত এই শহরটি। রাতজাগা শহরটির ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেল শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে।

৪. মিউনিখ, জার্মানি:
টিউশন ফি ছাড়া শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ মিউনিখকে করেছে শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয়। টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ এবং লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি রয়েছে এখানে। উন্নত অবকাঠামো ও কর্মসংস্থানের দিক থেকেও এটি উল্লেখযোগ্য।

৫. মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া:
মেলবোর্ন পরিচিত তার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, উষ্ণ জীবনধারা ও বৃহৎ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী জনগোষ্ঠীর জন্য। ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্ন ও মনাশ ইউনিভার্সিটির মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত এবং জীবনযাত্রা আকর্ষণীয়।

৬. সিডনি, অস্ট্রেলিয়া:
অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক রাজধানী সিডনি চতুর্থ স্থানে রয়েছে আকাঙ্ক্ষিত গন্তব্য তালিকায়। ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি, ইউএনএসডব্লিউ এবং ইউটিএসের মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জীবনের গুণমান, আবহাওয়া ও ক্যারিয়ার সুযোগে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকূল।

৭. প্যারিস, ফ্রান্স:
শিক্ষার ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্যে প্যারিস এখনো শিক্ষার্থীদের প্রিয় গন্তব্য। কম টিউশন ফি ও বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান যেমন সায়েন্সেস পো, এনএস প্যারিস এখানে অবস্থিত। লা ডিফেন্সে রয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানি।

৮. জুরিখ, সুইজারল্যান্ড:
জুরিখ পরিচিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার জন্য। ইটিএইচ জুরিখ ও ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখের মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যদিও জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি, টিউশন ফি তুলনামূলক কম। প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিন্যান্সে রয়েছে ব্যাপক চাকরির সুযোগ।

৯. বার্লিন, জার্মানি:
বার্লিন ইউরোপের সবচেয়ে সাশ্রয়ী শহরগুলোর একটি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্যও টিউশন ফি নেই। ফ্রেই ইউনিভার্সিটি, হুমবোল্ট ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। শিল্প-সংস্কৃতি এবং চাকরির সুযোগে এটি আকর্ষণীয়।

১০. মন্ট্রিয়াল, কানাডা:
কানাডার সাংস্কৃতিক রাজধানী মন্ট্রিয়ালেও রয়েছে ম্যাকগিল, কনকর্ডিয়া ও ইউনিভার্সিটি অফ মন্ট্রিয়ালের মতো প্রতিষ্ঠান। ফরাসি-ইংরেজির দ্বৈতভাষিক পরিবেশ, শিল্প, প্রযুক্তি ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের উন্নতি একে করেছে আদর্শ।

এই শহরগুলোতে পড়ালেখা শুধু শিক্ষা নয়, বরং একটি পরিপূর্ণ জীবনগঠনের সুযোগ এনে দেয়। শিক্ষার্থীদের জন্য এগুলো হতে পারে ভবিষ্যতের সেরা বিনিয়োগ।

মিরাজ খান

×