
ছবি: সংগৃহীত
টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) ২০২৫ সালের এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। এবারের তালিকায় এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পাঁচটিই চীনের, যা দেশটির শিক্ষা ও গবেষণার অগ্রগতিকে তুলে ধরেছে। পাশাপাশি, সিঙ্গাপুর ও হংকং থেকে দুটি করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপান থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে।
এই র্যাঙ্কিং তৈরিতে পাঁচটি সূচক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: গবেষণার গুণগত মান (৩০%), গবেষণা পরিবেশ (২৮%), পাঠদান (২৪.৫%), শিল্প খাত থেকে আয় (১০%), আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি (৭.৫%)।
এবার ৩৫টি দেশের ৮৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এই র্যাঙ্কিংয়ে অংশ নেয়, যা একটি নতুন রেকর্ড।
এশিয়ার শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয় (২০২৫):
১. সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় (চীন)।
বিশ্বে ১২তম অবস্থানে থাকা এই প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় "চীনের MIT"। এটি প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে শীর্ষস্থানীয়।
বিশিষ্ট প্রাক্তন শিক্ষার্থী: প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও, অ্যাপল সিইও টিম কুক (পরামর্শক বোর্ডের চেয়ারম্যান)।
২. পেকিং বিশ্ববিদ্যালয় (চীন)।
বেইজিংয়ে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে সুনামি।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী: লিউ শাওবো (নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত), তু ইউইউ (চিকিৎসা নোবেলজয়ী), বাইদুর প্রতিষ্ঠাতা রবিন লি।
৩. ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (NUS)।
বিশ্বে ১৭তম অবস্থানে থাকা এই বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান, আইন, ব্যবসা ও প্রকৌশলে অগ্রণী।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী: লি কুয়ান ইউ, মাহাথির মোহাম্মদ, প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব।
৪. নানইয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটি (NTU), সিঙ্গাপুর।
বিশ্বে ৩০তম অবস্থানে থাকা এই প্রতিষ্ঠান টেকসই উন্নয়ন ও আন্তঃবিভাগীয় গবেষণায় অগ্রগামী।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী: ইন্টেলের সিইও লিপ-বু তান, ব্যবসায়ী ডাতো শ্রী তাহির।
৫. টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় (জাপান)।
জাপানের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়, যার ২০ জন নোবেলজয়ী প্রাক্তন বা বর্তমান শিক্ষক।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী: সাহিত্য নোবেলজয়ী ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা, টয়োটা প্রতিষ্ঠাতা কিিচিরো টয়োদা।
৬. হংকং বিশ্ববিদ্যালয় (HKU)।
বিশ্বে ৩৫তম অবস্থানে থাকা এই বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল, আইন ও মানবিক শিক্ষায় পরিচিত।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী: সান ইয়াত-সেন, ক্যারি লাম, SARS গবেষক ড. গুন ই।
৭. ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় (চীন)।
সাংহাইয়ের এই বিশ্ববিদ্যালয় C9 লিগের সদস্য। বিশ্বে ৩৬তম স্থানে রয়েছে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী: হান জেং, গুও গুয়াংচাং (Fosun International-এর প্রতিষ্ঠাতা)।
৮. চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং (CUHK)।
এই বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিভাষিক শিক্ষা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ গবেষণার জন্য পরিচিত।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী: নোবেলজয়ী স্যার চার্লস কাও, HKMA প্রধান নরম্যান চান।
৯. ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় (চীন)।
বিশ্বে ৪৭তম, প্রযুক্তি ও প্রকৌশলে অন্যতম সেরা।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী: চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, পিনডুওডুওর প্রতিষ্ঠাতা কলিন হুয়াং।
১০. সাংহাই জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয় (চীন)।
প্রাচীন ও সম্মানজনক এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে ৫২তম।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী: জিয়াং জেমিন, ইয়াও মিং, টেবল টেনিস কিংবদন্তি মা লং।
এই তালিকায় চীনের আধিপত্য এ অঞ্চলের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার শক্তিশালী অবস্থানকে প্রকাশ করছে। পাশাপাশি, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিকতাবাদ ও উদ্ভাবনের অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠছে।
সূত্র: https://shorturl.at/C4EYw
মিরাজ খান