সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, কাঙ্খিত পদোন্নতি ও অর্জিত ছুটি প্রদানের দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডাররা। আগামী সোমবার (২ অক্টোবর) দেশের সকল সরকারি কলেজ, টিটি কলেজ, আলিয়া মাদ্রাসা, মাউশি, শিক্ষাবোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে কর্মবিরতি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হলে আগামীতেও সর্বাত্মক কর্মবিরতির হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্যা। সংগঠনটির সভাপতি প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় প্রফেসর মো. মামুন উল হক, সহ-সভাপতি ড. আ.জ.ম. রুহুল কাদীর, যুগ্ম মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার, প্রচার সচিব প্রফেসর মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদীরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষা ক্যাডারে সুপারনিউমারারি পদসৃষ্টি করে পদোন্নতি প্রদান, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অর্জিত ছুটি সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় শিক্ষা ক্যাডারদের গলা চেপে ধরা হয়েছে। শিক্ষা ক্যাডারের পদগুলো দখল করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও সরকারি আলীয়া মাদ্রাসার জন্য আলাদা নিয়োগ বিধিমালা করা হয়েছে, যা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কম্পোজিশন এন্ড ক্যাডার রুলস ১৯৮০ এর পরিপন্থী। যে কারণে এই ক্যাডার পদটিই সংকটে এসে দাঁড়িয়েছে।
প্রায় সাত হাজার শিক্ষা কর্মকর্তা পদোন্নতির অপেক্ষায় আছেন জানিয়ে তারা বলেন, সব ধরনের ক্যাডারে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হলেও শিক্ষা ক্যাডারকে এর বাইরে রাখা হয়েছে। যেকারণে হাজার হাজার ক্যাডার যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও পদোন্নতি না পেয়ে অবসরে যাচ্ছেন। পদোন্নতির জন্য দ্রæত ডিপিসি সভা করে যোগ্যদের পদোন্নতি দেওয়ার দাবি করেন তারা।
সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার গুনগত মানের দুর্বলতার মূল কারণ অদক্ষ ও অপেশাদার ব্যক্তিরা শিক্ষা পরিকল্পনা ও প্রশাসনে গেড়ে বসেছেন। উপজেলা, জেলা থেকে শুরু করে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর অধিদপ্তর ও প্রকল্পসমূহে তারা শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগের দাবি জানান।
এম হাসান