
উপজেলা শিক্ষা অফিস
কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২শ ৬৮টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী-সহ শূন্য রয়েছে অর্ধেকেরো বেশি পদ।
দাপ্তরিক কাজ গতিশীল হচ্ছে না লোকবলের অভাবে। যার প্রভাব পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে। দ্রুতই এসব সমস্যার সমাধান করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সচেতন মহলের।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শিক্ষা অফিসে সহকারি শিক্ষা অফিসারের পদ ৯টি হলেও আছেন মাত্র ৪ জন সহকারী শিক্ষা অফিসার। ফলে একটি পৌরসভা সহ ১৩টি ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে তদারকির অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। রাজস্ব খাতের কোনো অফিস সহায়ক না থাকলেও আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে আছেন একজন অফিস সহায়ক।
দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে উচ্চমান সহকারির পদ। একজনকে নিজ দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি করতে হচ্ছে শুন্য পদের দাপ্তরিক কাজ। এভাবেই জোড়াতালি দিয়েই চলছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। এদিকে উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেই প্রধান শিক্ষক বিহীন ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে নব জাতীয়করণ কৃত বিদ্যালয়ের সংখ্যাই বেশি। ওই বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা উচ্চ আদালতে চলমান। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য থাকলেও সহকারি শিক্ষকই চালাচ্ছেন ওই পদ।
এদিকে জাতীয়করণ কৃত বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক পদ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকায় ওই বিদ্যালয় গুলোতে ঝুলে আছে প্রধান শিক্ষকের পদায়ন। প্রধান শিক্ষক না থাকায় পাঠদান সহ দাপ্তরিক কাজগুলো সহকারি শিক্ষকদেরকেই ভাগাভাগি করে সারতে হচ্ছে। তাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। আর শিক্ষা বিমুখ হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
উলিপুর পৌর সভার জাতীয়করণ কৃত নুরপুর সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের যোগ্যতা থাকার পরও প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদায়ন না করায় আমরা উচ্চ আদালতের দারস্থ হয়েছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমির হোসেন বলেন, ইতোপূর্বে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে দ্রুতই এসব সমস্যার সমাধান হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এসআর