ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

আল্টিমেটাম, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির দাবি

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩; আপডেট: ২২:৫৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আল্টিমেটাম, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির দাবি

সংবাদ সম্মেলন

জাতীয় নির্বাচনের আগে নীতিমালার শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনার স্বীকৃতি পাওয়া সব ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করতে সরকারের ১৫ দিনের সময় বেধে দিয়েছেন তারা। 

শিক্ষকরা আশা করছেন, এ সময়ের মধ্যে সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  তা না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা। 

সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দিয়েছে ননএমপিও শিক্ষকদের সংগঠন ‘নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ’। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ভ্যানগার্ড মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন জরা হয়।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে যৌক্তিক আন্দোলন চলছে। এ আন্দোলনের ফসল হিসেবে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে শিক্ষামন্ত্রী প্রায় সাড়ে সাত হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছেন। যা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

দবিরুল ইসলাম বলেন, এমপিওভুক্ত হতে না পারা ননএমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘ ২০-২৫ বছর বা তারও বেশি সময় বেতনহীন অবস্থায় থাকায় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবন ধ্বংসের দারপ্রান্তে। বিনা বেতনে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন, অনেকেই অবসর গ্রহণ করেছেন, আবার অনেকের চাকরির বয়স শেষের দিকে। আমরা মনে করি, সারা বিশ্বে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা, যা আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রত্যাশা করিনি।


১৫ দিনের দাবি মধ্যে দাবি না মানলে কর্মসূচি প্রসঙ্গে আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটাই দাবি, বিশেষ বিবেচনায় এমপিও নীতিমালার সব শর্ত শিথিল করে ননএমপিও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, ডিগ্রি কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো। 

সংবাদ সম্মেলন নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ শাহজাহান সিরাজ, অধ্যক্ষ মুনিমুল হক, অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

এসআর

×