ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গুচ্ছে জবিকে রাখতে ইউজিসির মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিরোধী

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ২২ মার্চ ২০২৩

গুচ্ছে জবিকে রাখতে ইউজিসির মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিরোধী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে সরে আসার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ এর ৪০ নং ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে বলে মনে করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বুধবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

সাংবাদিক সম্মেলনে তারা বলেন, গত ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই সিদ্ধান্তে তারা এখনও অটুট আছে বলে মন্তব্য করেন। একাডেমিক কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা খুব দ্রুতই সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে বলেও তারা মনে করেন।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ড.লুৎফর রহমান বলেন, কোনো ধরণের গবেষণা ছাড়া তাড়াহুড়া করে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ শঙ্কার কারণে যেতে রাজি ছিল না। কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে জোর করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ঠেলে দেন। পরে দেখা যায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের বদলে হয়রানি আরো বহুগুণ বেড়ে যায়।

তিনি বলেন,  গুচ্ছের মত একটি অদূরদর্শী প্রক্রিয়ার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্তির ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থানকে অবনমন করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের ভেতরে এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের বাইরে এটা একটা বৈষম্য নীতিও বলে মনে করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিল সর্বচ্চ কর্তৃপক্ষ। এ আইনের ৪০ নং ধারায় ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও  অন্যান্য পাঠ্যক্রমে ছাত্রভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃত এতদুদ্দেশ্যে নিজস্ব ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা প্ররিচালিত হবে।’

এ সময় লিখিত বক্তব্য ছাড়াও তাদের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয় যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যারাই ভঙ্গ করবে তাদেরই সেই দায়ভার নিতে হবে। মন্ত্রাণালয় বা ইউজিসি যদি একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে আইনের ব্যতয় করে তাহলে তার দায়ভার তাদেরই নিতে হবে। একাডেমিক কাউন্সিলে নেয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা। এরপরও যদি এ আইনের ব্যতয় ঘটে তাহলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় যে সিদ্ধান্ত হবে তাই বাস্তবায়ন করা হবে।

এমএইচ

×