ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইবির হলে ঝটিকা পরিদর্শনে গিয়ে প্রভোস্ট লাঞ্ছিত

ইবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ১৫ মার্চ ২০২৩

ইবির হলে ঝটিকা পরিদর্শনে গিয়ে প্রভোস্ট লাঞ্ছিত

প্রভোস্ট কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হল পরিদর্শনে গিয়ে হলের প্রভোস্ট লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে হলের কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার হলের প্রভোস্ট হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। এতে আবাসিকতা করার বিষয়টি ওঠে। পরদিন মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের তথ্য নিতে হলের কক্ষগুলো ঝটিকা পরিদর্শনে যান প্রভোস্ট অব্দুল জলিল পাঠান, হাউজ টিউটর প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, হলের উপ-রেজিস্ট্রার তারিক উদ্দীন আহমেদসহ অন্য কর্মকর্তারা।

এ সময় তাদেরকে ব্যঙ্গ করে বিভিন্ন কথা বলেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ ছাড়া ফোন করেও ছাত্রলীগ কর্মীরা অসদাচরণ করেছেন বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগ কর্মীরা ব্যঙ্গ করে বিভিন্ন স্লোগানও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতক্ষ্যদর্শীরা।

পরে হল থেকে নিচে নামলে প্রভোস্টের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রভোস্ট কার্যালয় ভাঙচুর করেন তারা। এতে প্রভোস্ট কার্যালয়ের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। পরে হল থেকে প্রভোস্ট চলে যান। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

হল সূত্র জানায়, হলের মোট সিট সংখ্যা ৩৯৬টি। এর মধ্যে ৮০ সিটের মতো আবাসিকতা প্রাপ্ত। বাকি সবাই অনাবাসিক।

ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলেন, পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই হলে রেড দিয়েছে। হঠাৎ রেড দেওয়ায় অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থীরা হল থেকে নিচে নেমে ক্ষুদ্ধ হয়ে এমনটি করেছে।

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট আব্দুল জলিল পাঠান বলেন, ‘গতকাল আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রদের ডাটাবেইজ নিতে যেয়ে আমাকে লাঞ্চিত করেছে। আমার কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। অনায্য, অনৈতিক ও অছাত্র সুলভ আচরণ করেছে ছাত্রলীগ। তবে সাধারণ ছাত্রদের সহযোগিতা পেয়েছি।’ 

তিনি বলেন, ‘গত দশ বছরে শিক্ষার্থীদের কোনো ডাটাবেজ নেই। জিয়া হল যেন একটা আবর্জনায় পরিণত হয়েছে। আমি যে কয়দিন আছি নিয়মের মধ্য থেকে কাজ করব। কোন অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না।’

এমএইচ

×