ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধদিনের গল্প 

মো. রাকিবুল হাসান

প্রকাশিত: ০১:২৫, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

যুদ্ধদিনের গল্প 

মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে খবর পৌঁছে দেওয়া, চিকিৎসক ও সেবিকা হিসেবে কাজ করা

মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে খবর পৌঁছে দেওয়া, চিকিৎসক ও সেবিকা হিসেবে কাজ করা ছাড়াও অস্ত্র হাতে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন নারীরা। তাঁদের একজন ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. সিতারা বেগম, বীরপ্রতীক। স্থায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন তিনি। সম্প্রতি এসেছেন বাংলাদেশে। শুক্রবার সন্ধ্যায় একদল তরুণ আলোকচিত্রীদের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সিতারা বেগম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবিদুর রহমান। 
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও-এ দুই ঘণ্টাব্যাপী গণবিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সদস্যদের যুদ্ধজয়ের গল্প শোনান দুই কিংবদন্তি। স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন সেনা কর্মকর্তা ও চিকিৎসক তৎকালীন ডা. সিতারা। তাঁর বড়ভাই মেজর এ.টি.এম. হায়দার, বীর উত্তম ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের ডেপুটি কমান্ডার। কিন্তু ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে নির্মমভাবে খুন হন মেজর হায়দার।

ডা. সিতারা বেগম বলেন, ‘মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ যারা স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, আজ তাদের নাম অনেকেই জানে না। ১৯৭১-এর ইতিহাস সবার সামনে উন্মুক্ত হোক। স্বাধীন বাংলায় সবাই সঠিক কাজের মূল্যায়ন পাক।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণবিশ্ববিদ্যালয়ে ফটোগ্রাফি কোর্স না থাকা সত্ত্বেও তোমরা শখের বসে ফটোগ্রাফি করছো, শুনে খুব ভালো লাগছে। দেশের জন্য তোমরা কাজ করবে, দেশকে তোমাদের মাধ্যমেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’
জিবিপিএসের সহ-সভাপতি হাসিব মীর বলেন, ‘একটি গৌরবময় সুন্দর সন্ধ্যা কাটালাম আমরা। মুক্তিযুদ্ধের অজানা অনেক ঘটনা শুনেছি। যুদ্ধে চিকিৎসকদের অবদান সম্পর্কে জেনেছি।’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রুমন হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক গল্প আছে, যা আমাদের এখনো অজানা। আজকের আলাপন মাতৃভূমির প্রতি সম্মান এবং দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে তুলবে।’
 বৈঠকের এক পর্বে তাঁদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় সংগঠনের লিড মেন্টরস্ মো. রাকিবুল হাসান এবং মুহাম্মদ নঈম উদ্দীনসহ জিবিপিএস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, জাতীয় পর্যায়ে অধিভুক্ত গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র সংগঠন জিবিপিএস।

×