ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ইবির আবাসিক হল

ইবিতে দাম-ফি বাড়লেও খাবারের মান বাড়েনি

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইবিতে দাম-ফি বাড়লেও খাবারের মান বাড়েনি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের খাবারের মান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ফি ও দাম বাড়লেও খাবারের মান ও ভর্তুকি বাড়েনি। নিয়ম অনুযায়ী মিলরেট ২২, ২৫ ও ৩০ টাকা হলেও মেন্যুভেদে ৪০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন ডাইনিং ম্যানেজাররা। 

এদিকে, গত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ফি প্রায় তিনগুণ বাড়িয়ে দুই হাজার ৪৬২ টাকা করা হয়েছে। এর বিপরীতে পাঁচ বছরে ভর্তুকি মাত্র ২০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মিল প্রতি বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে মাত্র এক টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে আবাসিক হলে ফি ছিল ৭১৮ টাকা। একই বছরের শেষে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসহ আনুষঙ্গিক ফি বাড়িয়ে প্রায় তিন গুণ করা হয়। একই সঙ্গে ওই শিক্ষাবর্ষ থেকে এক হাজার ৮৭২ টাকা আবাসিক হলের ফি করা হয়। এছাড়া ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আরেক ধাপে বৃদ্ধি করা হয় আবাসিক ফি। দ্বিতীয় ধাপে বৃদ্ধির পর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক ফি দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ১৮০ টাকা। যা ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের থেকে দুই হাজার ৪৬২ টাকা বেশি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে হলের ডাইনিংয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী প্রতি মাসিক ভর্তুকি ছিল ৮০ টাকা। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই ভর্তুকি বেড়েছে ২০ টাকা অর্থাৎ ০.২৫ গুণ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য, আনুষাঙ্গিক ফি ও হলের খাবারের দাম বাড়লেও ভর্তুকি ও খাবারের মান বাড়ে না। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে খাবারে পোকা পাওয়া যায়। আবাসিক হলগুলোতে পঁচা-বাসি খাবার দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এতে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা পেটের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ছাত্রী হলগুলোতে আবাসিক শিক্ষকদের ঘনিষ্ট শিক্ষার্থীরা অন্যদের এসব অভিযোগ বাইরে বলতে নিষেধ করেন।

শেখ রাসেল হলের আবসিক শিক্ষার্থী ফাহাদ বলেন, ডাইনিংয়ে বাধ্য হয়ে খেতে হয়। হলের ভাত ও তরকারির অবস্থা খুবই খারাপ। মাছের চেয়ে বিস্কুটের সাইজও বড়। হোটেলগুলোতে তো গলাকাটা মূল্য। বিষয়গুলো আমলে নিয়ে কর্তৃপক্ষের ভর্তুকি বাড়ানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

একাধিক হলের ডাইনিং ম্যানেজাররা বলেন, আমাদের যে পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া হয় তা দিয়ে বর্তমান রেটে এর চেয়ে ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা সম্ভব নয়। আমরা ভর্তুকি বৃদ্ধি করার অথবা খাবারের দাম বাড়ানোর দাবি করেছি প্রভোস্ট স্যারের কাছে।

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ডাইনিং ম্যানেজারো ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়েছে। ম্যানেজারদের সঙ্গে বসে ও কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে সার্বিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×