ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে আমন ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ২৩:৪৫, ২৪ নভেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজারে আমন ধানের বাম্পার ফলন

.

সৈয়দ হুমায়েদ শহীন, নিজস্ব সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার ॥ সোনালি নতুন ধানের ম-ম গন্ধে যেন মুখরিত মৌলভীবাজার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। কেউ ধান কর্তন করছেন। আবার কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চলতি আমন মৌসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে একই জমিতে রোপা আমন ধান রোপণের পর কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে কর্তন শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে যান্ত্রিক নির্ভর হলে শ্রমিক সংকট থাকবে না। যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুমে দেখা দেয় শ্রমিক সংকট। শ্রমিক সংকটের কারণে অনেকেই সময়তো সোনালি ফসল ধান ঘরে তুলতে পারে না। এতে অনেক জমিতে ধান ঝরে গিয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি হতাশায় থাকেন। রোপণ ও কর্তন যান্ত্রিক হওয়ায় কম খরচে কৃষকরা ফলন ভালো পাচ্ছেন। স্থানীয় কৃষি যান্ত্রিকী করণ পাতাকঁড়ি এগ্রোর খামার মালিক, সৈয়দ উমেদ আলী জানান, এ বছর ১২৩ বিগা জমিতে হাইব্রিড ও ব্রি ৭৫  জাতের ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ৮৩ বিগা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা রোপণ করেন এবং ওই জমিতে ধান কর্তন করছেন।

যান্ত্রিকীকরণের কারণে খরচ কমে গেছে, ফলন ভালো হয়েছে। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ জানান, এ বছর বিভিন্ন জাতের ব্রি-ধান ও হাইব্রিড ধান কৃষকরা চাষাবাদ করেছেন। অনেক জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনে চারা রোপণ করা হয় ও কর্তন করা হচ্ছে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে।
ফলন ভালো হওয়ায় চাষীরাও খুশি। তিনি আরও জানান, আমন ধান চাষে এ বছর অনুকূল পরিবেশ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে প্রতি বছর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, বর্তমান সরকার এক ইঞ্চি জমি যাতে খালি পরে না থাকে সে জন্য, কৃষি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে করে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ জাগছে।


 

 

×