ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে

খাদ্য প্যাকেজিং নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেগওয়ার্কের টলুইনমুক্ত কালি

স্টাফ রিপোর্টার॥  

প্রকাশিত: ১৮:০০, ৬ জুলাই ২০২২

খাদ্য প্যাকেজিং নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেগওয়ার্কের টলুইনমুক্ত কালি

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশের গ্রাহকদের উন্নত মানের পণ্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে পণ্য ভোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সেগওয়ার্ক। সারা বিশ্বে প্যাকেজিং অ্যাপ্লিকেশন লেবেলের জন্য প্রিন্টিং ইংক কোটিং সরবরাহকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান সেগওয়ার্ক বুধবার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের অবস্থান তুলে ধরে। খাদ্য নিরাপত্তা ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টলুইনমুক্ত প্রিন্টিং ইংকের গুরুত্বও এখানে তুলে ধরা হয়।

এসময় প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট আশীষ প্রধান বলেন, নিরাপদ প্যাকেজিং ইংকের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সেগওয়ার্ক দীর্ঘ সময় ধরে সচেতন। নিরাপদ কালি আমাদের কার্যক্রমের একটি প্রধান নীতি। এই বিষয়ে কাজ করার জন্য আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ দলও রয়েছে। তিনি বলেন, সকল কার্যক্রমে নিরাপদ কালি ব্যবহার করার ব্যাপারে সেগওয়ার্ক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর ফলে পৃথিবীজুড়ে সেগওয়ার্কের কারখানাগুলোতে টলুইনমুক্ত কালি উৎপাদনেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের গ্রাহকরাও আমাদের এই প্রতিশ্রুতির আওতাভুক্ত। শুরু থেকেই সেগওয়ার্ক বাংলাদেশ গ্রাহকদের টলুইনমুক্ত কালি সরবরাহ করে আসছে বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বিষাক্ততার কারণে টলুইন বিশ্বব্যাপী পরিচিত। নানা ধরনের ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে এটি ভোক্তা, পেশাগত পরিবেশগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে। ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টলুইনকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএমআর ক্যাটাগরি (সন্দেহ করা হয় যে, এটি অনাগত সন্তানের ক্ষতি করতে পারে) হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করেছে। ছাড়া টলুইনযুক্ত কালি দিয়ে ছাপানো হলে অবশিষ্ট টলুইন প্যাকড খাদ্য বা পানীয়ের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এটি পণ্যের অর্গানোলেপটিক বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে, যা খাদ্যের মান, নিরাপত্তা, এমনকি আইনি সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। এসব কারণে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারীরা তাদের পণ্যের খাদ্য প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে টলুইনের ব্যবহার সীমিত বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছেন।

এসময় জানানো হয়, সেগওয়ার্ক একটি ষষ্ঠ প্রজন্মের পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানি। প্যাকেজিং, লেবেল কোটিংয়ের জন্য প্রিন্টিং ইংক কোটিং উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। ১৮০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতামৃদ্ধ কোম্পানিটির নানা ধরনের প্রিন্টিং পদ্ধতি নিয়ে যথেষ্ট দক্ষতা জ্ঞান রয়েছে।কালি, হৃদয় আত্মানিজেদের এই দর্শনের কথা মাথায় রেখে সেগওয়ার্ক তার ব্যবসায়িক পার্টনারদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সেগওয়ার্ক কান্ট্রি হেড বাংলাদেশ অংশুমান মুখার্জি, সেগওয়ার্ক ইন্ডিয়ার হেড-প্রোডাক্ট সেইফটি অ্যান্ড রেগুলারিটি যতীন টাক্কার সেগওয়ার্ক ইন্ডিয়ার কনসালট্যান্ট ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রিয়দর্শিনী ভারদেভু উপস্থিত ছিলেন।

×